সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন কমলের পালটা ‘অপারেশন হস্ত’! কর্নাটকে দলে ভাঙনের আশঙ্কায় কাঁপছে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের আশঙ্কার যথেষ্ট কারণও আছে। আসলে ইদানিং কর্নাটক বিজেপির বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতা সরাসরি যোগাযোগ রাখছে রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে। এর মধ্যে রয়েছেন তিন প্রাক্তন মন্ত্রীও।
এস টি সোমশেখর, শিবরাম হেব্বার এবং এইচ বিশ্বনাথ। কর্নাটক বিজেপির তিন প্রভাবশালী নেতা। দুজন বিধায়ক এবং একজন এমএলসি। তিনজনই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। বুধবার রাতে তাঁরা নাকি কংগ্রেসের বিধায়ক দলের বৈঠকে এবং বৈঠক শেষের নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন। যদিও কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার জানিয়েছেন, ওই তিন বিজেপি নেতা শুধু নৈশভোজে যোগ দিয়েছেন। দলের বৈঠকে যোগ দেননি। তবে কংগ্রেসের বৈঠক স্থলে যে তাঁরা ছিলেন সেটা মেনে নিয়েছেন শিবকুমার।
[আরও পড়ুন: যৌন হেনস্তার শিকার খোদ বিচারক! সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি]
কর্নাটক রাজনীতিতে জল্পনা এই তিন প্রভাবশালী নেতা লোকসভা নির্বাচনের আগেই তাঁদের অনুগামীদের নিয়ে কংগ্রেসে শামিল হতে পারেন। তাঁদের অনুগামী বিধায়ক সংখ্যাও নেহাত কম নয়। শেষ পর্যন্ত এরা সদলবলে কংগ্রেসে যোগ দিলে সেটা বিজেপির জন্য বিরাট ধাক্কা হবে। গেরুয়া শিবিরও সেটা জানে। সম্ভবত সেকারণেই এই তিন নেতার বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কর্নাটক বিজেপির রাজ্য সভাপতি বি এস বিজয়েন্দ্র ইতিমধ্যেই তাঁদের শোকজ করেছেন। কেন ওই বৈঠকে, তার ব্যাখ্যা চেয়েছে দল। যদিও কোনও বিজেপি নেতাই এখনও জবাব দেননি।
[আরও পড়ুন: এখনই স্বস্তি নয়, সুপ্রিম কোর্টে মহুয়ার মামলার শুনানি সেই জানুয়ারিতে]
কর্নাটক রাজনীতিতে জল্পনা, ওই তিন নেতা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা দলবদল করতে পারেন। যা লোকসভার আগে বড় ধাক্কা হবে বিজেপির জন্য।