সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসকে টাকা দিচ্ছে চিন! রাহুল গান্ধী সংসদে ফিরতেই অভিযোগ তুলল বিজেপি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের শাসকদলের দাবি, চিনা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে সিদ্ধহস্ত একটি সংবাদমাধ্যমকে তদন্তের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে কংগ্রেস।
আজই সাংসদ পদ ফেরত পেয়েছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সোমবারই লোকসভা সেক্রেটারিয়েটের তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী ওয়ানড়ের সাংসদের পদ ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই খবর পাওয়ার পরেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন দলের কর্মী সমর্থকরা। ১০ জনপথ রোডে রাহুল গান্ধীর বাসভবনের সামনে নাচগান শুরু করেন তাঁরা। সংসদে হাজির হন রাহুল গান্ধী। বিশ্লেষকদের মতে, প্রাথমিক ধাক্কা সামলে এবার কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতে চিনকে হাতিয়ার করছে বিজেপি। আর তাদের তুরুপের তাস নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট।
এদিন সংসদে বিজেপি সাংসদ নিশীকান্ত দুবে বলেন, “কংগ্রেসকে টাকা দিচ্ছে চিন। নিউজক্লিকের মতো চীনপন্থী নিউজ ওয়েবসাইটের ঢাল হয়ে দাঁড়ায় ওই দলটি।” ‘দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি’কে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর অভিযোগ, ২০২১ সালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানা যায়, বিদেশ থেকে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা আসে সংস্থাটির অ্যাকাউন্টে। টাকার উৎস সন্ধানে নেমে নেভিল রয় সিংহমের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সব জেনেও নিউজক্লিককে আড়াল করার চেষ্টা করে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: নোংরা ওয়াশিংটনে সুবিচার হয় না! নির্বাচনে কারচুপির মামলা স্থানান্তর করার দাবি ট্রাম্পের]
উল্লেখ্য, নাৎসিদের কায়দায় বিশ্বজুড়ে ‘প্রোপাগান্ডা ওয়ার’ শুরু করেছে চিন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গত শনিবার এক প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করে, নেভিল রয় সিংহম নামের এক মার্কিন ধনকুবের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত এবং আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশে মগজ ধোলাইয়ের কাজ করছে বেজিং। নেভিল এবং তাঁর প্রচার নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত কিছু সংস্থার মধ্যে রয়েছে নো কোল্ড ওয়ার, নিউজক্লিক এবং কোড পিঙ্ক। এনওয়াইটি-র মতে, সম্প্রতি এই সংস্থাগুলি চিনের হয়ে কথা বলছে। ভারতেও নাকি এমনই কাজকর্ম চালাচ্ছিলেন নেভিল। তাঁর একটি নিউজ সাইটে হানা দেয় ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলি। আমেরিকার জমিতেই গজিয়ে ওঠা বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমেই নাকি এহেন কার্যকলাপের টাকা জোগাড় করা হত।