নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যসভা থেকে একঝাঁক মন্ত্রীকে ভোটের ময়দানে নামাতে চাইছে বিজেপি। সূত্রের খবর, অতীতে রাজ্যসভার সাংসদ থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের লোকসভা ভোটের ময়দানে নামিয়ে সুফল পাওয়া গিয়েছে। তাই এবারেও একই রাস্তায় হাঁটতে চাইছে তারা। রাজ্যসভার সাংসদ এমন আধ ডজন মন্ত্রীকে এবার লোকসভা ভোটে প্রার্থী হিসাবে দেখা যেতে পারে এমন সম্ভাবনাই প্রবল। এই তালিকায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নাম রয়েছে।
সূত্রের খবর, দুবারের বেশি কাউকে রাজ্যসভার মনোনয়ন দেওয়া হবে না– এই ফর্মুলাতেই আসতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তাতে অবশ্য এক বা দুজন ব্যতিক্রম হতেই পারেন। যেমন, রাজ্যসভার দলনেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনবার রাজ্যসভার সাংসদ হলেও অলিখিতভাবে বিজেপির তহবিল সামলানোর কাজ তিনিই করেন বলে গোয়েলকে এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে এই তালিকার বাইরে রাখা হবে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
লোকসভা ভোটের রণকৌশল নিয়ে বিজেপির (BJP) অন্দরে লাগাতার বৈঠক চলছে। সেখানেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের লোকসভা ভোটের ময়দানে নামানো হলে তাতে বাড়তি সুবিধা মিলতে পারে, এই মর্মেই আলোচনা হয়েছে। অতীতে তার নজির রয়েছে সেকথাও উঠে এসেছে বৈঠকে। এর আগে, রাজ্যসভা সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকলীন স্মৃতি ইরানি আমেথি, রবিশংকর প্রসাদ পাটনা এবং হরদীপ সিং পুরী অমৃতসর আসন থেকে লোকসভায় প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছেন। আর তাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে লোকসভা ভোটের প্রার্থী হলে আলাদা সুবিধা পাওয়া যায় বলেই মনে করছে তারা। বিজেপি সূত্রের খবর, অর্থমন্ত্রী নির্মলাকে তাঁর নিজের রাজ্য তামিলনাডুর কোনও আসন থেকে প্রার্থী করা হতে পারে।
আবার ভূপেন্দ্র যাদব প্রার্থী হতে পারেন রাজস্থান থেকে। বর্তমানে তিনি সেখান থেকেই রাজ্যসভার সাংসদ তো বটেই, আবার তাঁর জন্মস্থানও রাজস্থানেই। শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অবশ্য নিজেই এবারে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান এবং তা নিজের রাজ্য ওড়িশার ঢেঙ্কানল বা সম্বলপুর আসন থেকে। নিজের ইচ্ছার কথা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রধান জানিয়েছেন এবং তাতে এক প্রকার সম্মতিও মিলে গিয়েছে বলেই খবর।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাণ্ডব্যও গুজরাটের পাতিদার সম্প্রদায়ের নেতা। সেখানকার সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের কোনও আসন থেকে তাঁকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ওড়িশা বা গুজরাটের কোনও নিরাপদ আসন থেকে প্রার্থী করার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার সিন্ধিয়াকে তাঁর কংগ্রেসে থাকাকালীন জেতা পারিবারিক আসন গুণা থেকেই লোকসভায় প্রার্থী করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বিজেপির অন্দরে।