রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পুরনো ও বসে যাওয়া নেতাদের মানভঞ্জন করে তাদের কাছে টানতে এবার নয়া কৌশল নিল বিজেপি (BJP)। পুরনো নেতাদের দলে গুরুত্ব বাড়াতে মোদি-শাহরা নতুন পরিকল্পনা নিয়েছেন। বাংলায় তো বটেই, সমস্ত রাজ্যেই বিজেপির প্রবীণ ও পুরনো নেতা-কর্মীদের নিয়ে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করবেন বর্তমান নেতারা। সম্মেলন করে শুনতে হবে দলের আদিদের পরামর্শ।
কর্ণাটক ভোটে (Karnataka Election) হারের শিক্ষা থেকেই এই পরিকল্পনা বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লির নেতৃত্ব সব রাজ্যের ক্ষেত্রেই এই পরিকল্পনা নিলেও বাংলায় তা বিশেষভাবে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, বঙ্গ বিজেপিতেই আদি-নব্য দ্বন্দ্ব সবচেয়ে বেশি তীব্র আকার নিয়েছে। চব্বিশের লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে সেই দ্বন্দ্বই চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে দিল্লির কাছে। উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির মধ্যেই আওয়াজ উঠেছে, দলবদলু নতুনদের নিয়ে মাতামাতি নয়, পুরনোদের গুরুত্ব দিতে হবে। মোদি সরকারের ন’বছর পূর্তি কর্মসূচিকে সামনে রেখেই বিধানসভা স্তরে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মৃত্যুর ৪ বছর পরেও অবিকৃত সন্ন্যাসিনীর দেহ! ‘অলৌকিক’ কাণ্ড চাক্ষুষ করতে ভিড় ভক্তদের]
সম্প্রতি সাংগঠনিক বৈঠকে দলীয় নির্দেশিকার কথা উল্লেখ করে সেখানে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনশল বলেছেন, ‘‘জনসংঘের সময় থেকে বিজেপি পার্টি তৈরি হওয়ার পর থেকে যে যে পুরনো ও প্রবীণ কার্যকর্তারা রয়েছেন, তাঁদের তালিকা বানাতে হবে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।’’ সূত্রের খবর, পুরনো নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশকে যদি পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের আগে নামানো না যায়, তাহলে ভাল ফল সম্ভব নয়। এমন রিপোর্টও উঠে এসেছে বিভিন্ন জেলা থেকে। আদিরা দূরে সরে থাকায় এর প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটেও পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বাংলার হিমসাগরের জয়জয়কার, মালদহের পর পূর্ব বর্ধমানের আমের দিল্লি যাত্রা]
প্রসঙ্গত, চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে চিন্তায় বিজেপি। দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে তারা শুধু ক্ষমতাই হারায়নি, ভরাডুবি হয়েছে মোদি-শাহ-নাড্ডা ব্রিগেডেরই। প্রথমে হিমাচল প্রদেশে এবং এবার কর্নাটক–পরপর দুই সংখ্যাগুরু প্রধান রাজ্যে ক্ষমতা হারিয়ে দিশাহারা বিজেপি। হিন্দুত্বের তাস খেলে মেরুকরণের রাস্তায় গিয়েও সাফল্য আসেনি। তাই নয়া ফর্মুলায় বিজেপি।