নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দলের পুরনো সৈনিকরা করণীয় কাজ সম্পর্কে দিশেহারা। অভিযোগ, তাঁদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও বার্তা দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। তাই দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে। দলের কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছে না। পুরনোদের ফের দলের সঙ্গে যুক্ত করতে বঙ্গ বিজেপির (BJP) ক্ষমতাসীন নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের কোনও কমিটিতে নেই। অথচ কাজ করতে চান। এমন নেতৃত্বকে দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি বিজেপি।
বঙ্গ বিজেপিতে সাংগাঠনিক রদবদলের পর থেকেই বহু পুরনো নেতা, কর্মী কার্যত ঘরবন্দি। ভুলেও পা মাড়ান না মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য দপ্তরে। দিন যত গড়িয়েছে, ততই দূরত্ব বেড়েছে নব্য আর পুরনোদের। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা (Rahul Sinha) ছাড়া কোনও পুরনো নেতাকে দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায় না। দলের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া তো দূরঅস্ত। বারবারই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে পুরনোদের সক্রিয় করতে হবে বলে বার্তা দওয়া হলেও কাজের কাজ হয়নি। দূরত্ব বেড়েছে তো কমেনি। কিন্তু অন্য কোনও রাজনৈতিক দলেও যোগ দেননি তাঁরা।
[আরও পড়ুন: বেআইনি মাংসের কারবার! প্রাক্তন মন্ত্রীর ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল যোগীর পুলিশ]
কেন পুরনোদের অভিমান ভাঙানো যাচ্ছে না, বারবার বর্তমান নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। রাজ্য বিজেপির তরফে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা হলেও তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যেনতেন প্রকারে দূরত্ব কমিয়ে সংগঠনের কাজে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরেও কাজ হয়নি।
[আরও পড়ুন: বর্ষায় টিক্সের হানায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে সারমেয়রা, সতর্ক হন এখনই]
এবার ঘরবন্দি পুরনোদের ফের সংগঠনের কাজে যুক্ত করতে কয়েকদফা নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় নেতারা। যাঁরা সংগঠনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী, তাঁদের কাজ নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য রাজ্যের তরফে বার্তা পাঠাতে হবে। সেইসঙ্গে নির্দিষ্ট দায়িত্ব গুরুত্ব দিয়ে পালন করছেন কিনা, তারও মূল্যায়ন করে রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। কেন দলের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন না, সেই ব্যাখ্যাও রিপোর্টে উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।