স্টাফ রিপোর্টার: আবাস যোজনায় (Pradhan Mantri Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপিকে আগেই নিশানা করেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ নিয়ে সরব হন। এবার প্রাপকদের তালিকায় বিজেপি নেতাদের নাম সামনে এনে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার একটি টুইট করে সেই তালিকা প্রকাশ করে শাসকদল।
তালিকায় প্রাপকদের যে নামগুলি রয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ৭ জন বিজেপি নেতা-মন্ত্রীর নাম। যেমন রয়েছে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর বিধায়ক দীপঙ্কর ঘরামির স্ত্রী প্রতিমা ঘরামির নাম। রয়েছে কোচবিহার থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাবা বিধুভূষণ প্রামাণিকের নাম। রয়েছে ঝাড়গ্রামের বিজেপির জেলা সভাপতি তুফান মাহাতোর নাম। রয়েছে তাঁর ভাইয়ের নামও। আবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিজেপি নেত্রী লক্ষ্মী মজুমদারের নাম রয়েছে। রয়েছে বাঁকুড়ার স্থানীয় বিজেপি নেতা নারায়ণ শিটের নাম। রয়েছে পুরুলিয়া রঘুনাথপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রবীন ঘোষ গোপের স্ত্রী লেহালি গোপের নাম।
[আরও পড়ুন: ‘ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন’, নন্দীগ্রামে ‘জয়’ নিয়ে গর্বিত শুভেন্দুকে পালটা কুণালের]
টুইটারে তৃণমূল লিখেছে, ‘বিজেপি প্রতারণা করে আবাস যোজনার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তার পরও তারা দুর্নীতির কথা বলে! এটাই তাদের দ্বিচারিতা। বাস্তব সব প্রমাণ দেয়।’ এদিকে আবাস যোজনা, ১০০ দিনের প্রকল্প-সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ দেখতে আগামী সপ্তাহে কেন্দ্রের পাঁচটি মনিটরিং টিম আসছে রাজ্যে। তারা ১০টি জেলা, কালিম্পং, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানে যাবে। উত্তর প্রদেশের লখনউ, হারদই, এলাহাবাদ ছাড়াও দিল্লির দুটি প্রতিষ্ঠানের থেকে প্রতিনিধিরা এই দলে থাকছেন বলে খবর। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য সরকার অবিলম্বে তাদের সমীক্ষা করার কাজ শুরু করেছে। তৃণমূল-বিজেপি পরস্পরের বিরুদ্ধে দোষারোপও চালাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের মধ্যে অনেক নামই কাটা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এর জন্য যুক্তি দিয়ে বলেছেন, পুরনো তালিকা। তাই কিছু নাম রয়ে গিয়েছে। সেসব বাদ দেওয়া হয়েছে।
এমনকী, বিজেপির নেতাদের দোতলা-তিনতলা বাড়ি থাকার পরও তারা এই অভিযোগে সরব হচ্ছে দেখে প্রশ্ন তুলে পালটা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। পুরনো তালিকায় নাম থাকার পরও বড় বাড়ি থাকায় যাঁদের নাম সামনে এসেছে, তাঁদের জন্য তৃণমূল পালটা কেন্দ্রের টাকা দিতে গড়িমসির অভিযোগ তুলেছে। পাঁচ বছর টাকা না দেওয়ার পরই তৃণমূলের অনেকে নিজেদের মতো টাকা জোগাড় করে বাড়ি করে নিয়েছে বলে দাবি করে শাসকদল।