সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কুকথা দিলীপ ঘোষের। মমতার চামচা চিকিৎসকদের প্যাঁদানি দেওয়ার নিদান দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। লোকসভার ভোটের নিরিখে বিজেপি এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। সেই দলের রাজ্য সভাপতির মুখে এ হেন কুবাক্য কতটা শোভনীয় তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। এনআরএস ইস্যুতে বলতে গিয়ে এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ষড়যন্ত্র করে নিজের কিছু চামচা পাঠিয়ে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা করছেন। এই সব চামচাদের প্যাদানি দেওয়ারও নিদান দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলকে চাপে ফেলতে তৎপর বাংলার বিজেপি সাংসদরা, নয়া কৌশল গেরুয়া শিবিরের]
এদিন রাজ্য সদর দপ্তরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের আবেগ জড়িয়ে। মানুষ চিকিৎসকদের সঙ্গে আছেন। মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করার চেষ্টা করবেন না।” দিলীপ এরপরই বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজের কয়েকটা চামচা, যাদের তিনি পুরস্কার দেন, ডি-লিট দেন, তাদের দিয়ে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা করছেন। ওদের মধ্যেই জনা কয়েক নবান্নে গিয়েছিলেন। কেউ তাদের ডাকে সাড়া দেননি। এইসব চামচাদের বুঝতে হবে। সময় বদলাচ্ছে। প্যাঁদানি দেওয়ার সময় আসছে। মানুষের আবেগের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করতে গেলে বাংলাকে শান্ত রাখা যাবে না।” প্রশ্ন হচ্ছে, প্যাঁদানি দেওয়া এবং বাংলাকে শান্ত না রাখা যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে কী দিলীপবাবু উসকানি দিলেন না?
[আরও পড়ুন: দেবের পর এনআরএস কাণ্ডে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী]
এরপর অবশ্য কিছুটা নিজেকে সামলে নেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, “সমস্যা সমাধানে দুই পক্ষকে নমনীয় হতে হবে। চিকিৎসকরা আলোচনায় রাজি হয়েছেন। এবার আলোচনায় বসা উচিত।” তবে, এনআরএস ইস্যু নিয়ে দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্য এদিন প্রথম নয়, এর আগে তিনি বলেছিলেন জয় শ্রীরাম ধ্বনির ভয়ে এনআরএস যাচ্ছেন না মমতা। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার (এনআরএস) মুখ নেই। ওখানে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তেন।’জয় শ্রীরাম’ বলে স্বাগত জানাতেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর হেলিকপ্টারে নবান্নে যাবেন।’
The post ‘চামচা দিয়ে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা করছেন মমতা’, ‘প্যাঁদানি’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলীপের appeared first on Sangbad Pratidin.