সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের নির্বাচন শিয়রে। উৎসবের মরশুম পেরলেই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দেবে রাজনৈতিক দলগুলি। তার আগেই দিল্লি থেকে বাংলা দখলের ব্যাপারে প্রত্যয় দেখালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বলা ভাল তিনি হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন, ‘২০২১-এ বাংলায় পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। এবং বিজেপিই সরকার গড়বে।’ সেই সঙ্গে তোপ দাগলেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পালটা দিয়েছে তৃনমূলও। রাজ্যের শাসকদল বলছে, ‘আগে উত্তরপ্রদেশে নজর দিন। তারপর বাংলার কথা ভাবতে আসবেন।’
শনিবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন বিজেপি (BJP) সভাপতি বলেন,”আমরা আমাদের সেরাটা দেব। এবং আমি আশাবাদী, আগামী বছর বাংলায় পরিবর্তন আসবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে বিজেপিই বাংলায় সরকার গড়বে।” বাংলায় কি কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে সামনে রেখে লড়বে বিজেপি? অমিত শাহ বলছেন,”সেটা হতেই পারে। তবে, এই মুহূর্তে সবথেকে বড় কথা হল, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে চায়।” রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,”আমফানের সময় প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। পুরো ত্রাণের টাকাটা দুর্নীতিতে চলে গিয়েছে।” অমিত শাহর দাবি,”রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। প্রতিটা জেলায় বোমা তৈরির কারখানা আছে। পরিস্থিতি একেবারেই ভাল নয়। সবচেয়ে উদ্বেগের হল, যেভাবে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের খুন করা হচ্ছে, ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। আর কোনও রাজ্যে এমন হয় না। আগে কেরলে হত, কিন্তু এখন সেখানেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘লাদাখের সঙ্গে সৎ মায়ের মতো আচরণ করেছে কংগ্রেস’, বিতর্কিত মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
প্রাক্তন বিজেপি সভাপতির এই আক্রমণের পালটা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি বলছেন,”প্রথমেই বলি অমিত শাহজির স্বাস্থ্য নিয়ে বহু গুজব ছড়িয়েছে। ওঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। আসলে বিজেপি রাজ্যে রাজনৈতিক খুনের সংখ্যাটা বেশি করে দেখানোর জন্য এখন টিবি বা ক্যানসারে মৃত্যু হলেও রাজনৈতিক খুন বলে দাবি করছে। ওঁর উচিত বামেদের আমলে রাজ্যের ইতিহাস খতিয়ে দেখা। তাহলেই বুঝে যাবেন বাংলা কতদূর এগিয়েছে।” তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলছেন, “উনি বাংলার পরিস্থিতি জানেন না। ওঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন প্রায় শেষ। অথচ, সেটা নিয়ে তিনি কিছু বলছেন না কেন?”