শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ৩ দিন ধরে নিখোঁজ কিশোরীর দেহ উদ্ধার। ডুডুয়া নদীর পার থেকে বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার। ধর্ষণ করে খুন বলেই অভিযোগ মৃতার পরিবারের। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ঘটনায় ধৃত যুবক। অভিযুক্তর বাড়ি ঘেরাও করে হামলা ক্ষুব্ধ জনতার। ধৃত যুবক সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলেই দাবি তৃণমূলের। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চায় ঘাসফুল শিবির।
নিহত ওই কিশোরী ধূপগুড়ির গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের টুকলীমারী ১৫/১০৮ বুথের রেলগেট এলাকার বাসিন্দা। গত শুক্রবার দুপুরের পর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। বাড়ির সামনেই খেলা করছিল। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের তরফে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। শনিবার সকালেই ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ওই এলাকার পুকুরগুলিতে তল্লাশি চালাতে নামান হয় রাজ্য পুলিশের সিভিল ডিফেন্স বিভাগকে। স্নিফার ডগ নিয়েও শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। স্নিফার ডগ ধূপগুড়ির আলতাগ্রাম স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তার পর পুলিশ কুকুর ফিরে যায়।
[আরও পড়ুন: সস্তায় সোনার বিগ্রহ কিনতে গিয়ে বিপত্তি! কুলতলিতে প্রতারকের মারে গুরুতর জখম ক্রেতা]
ইতিমধ্যেই ধূপগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের ধনীরামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি দেহ দেখতে পান খগেনহাট এলাকার গ্রামবাসী। কুকুর মুখে করে টেনে বস্তাবন্দি দেহ ডুডুয়া নদীর পারে নিয়ে আসে। গ্রামবাসীদের নজরে আসে বস্তার ভিতরে মৃতদেহ রয়েছে। ধূপগুড়ি থানা এবং জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়। বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পচাগলা দেহটি ওই নিখোঁজ কিশোরীর হতে পারে। তাই মৃতদেহটি উদ্ধার করে রাতে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের দাবি, ওই কিশোরীকে শেষবার এলাকার এক প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে সাইকেলে চড়ে যেতে দেখা গিয়েছে। অভিযুক্তের বাড়িতে উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। উত্তেজিত জনতার রোষের শিকার হন উর্দিধারীরাও। ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেরায় ধৃত যুবক ধর্ষণের পর খুন করে বস্তাবন্দি দেহ ডুডুয়া নদীতে ফেলে দেয় বলে স্বীকার করে।
দেখুন ভিডিও: