ধীমান রায়, কাটোয়া: দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে সারাদিন ঘুরে এলাকায় প্রচার করেছিলেন বিজেপির স্থানীয় নেতা। প্রার্থী ওই স্থানীয় নেতার বাড়িতে গিয়ে জলখাবারও খেয়েছিলেন। প্রচার শেষ করে প্রার্থী ফিরে যেতেই পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে বিজেপির ওই নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাতে এই ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। রাতেই এলাকায় আসেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা। তিনি অনেক রাত পর্যন্ত তিনি কেতুগ্রাম থানায় ছিলেন। পুলিশের কাছে বিজেপি প্রার্থী দাবি করেছেন, তাঁদের দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
[আরও পড়ুন: বামেরা ক্ষমতায় এলে দ্বিগুণ হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! ভোটপ্রচারে সৃজনের মন্তব্য নিয়ে শোরগোল]
পালিটা অঞ্চলের বাঁশরা গ্রামে বাড়ি বিজেপির কেতুগ্রাম ৪ মণ্ডল সভাপতি বিকাশ মাজির। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার পালিটা অঞ্চল এলাকায় ভোটপ্রচার করেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা। ওই প্রচারে প্রার্থীর সঙ্গে দিনভর ছিলেন বিকাশ। তিনি বলেন,"সন্ধ্যার দিকে পাণ্ডুগ্রাম অঞ্চল এলাকায় প্রার্থীর সঙ্গে ঘুরছি। সে সময় আমার স্ত্রী ফোন করে জানায় প্রায় ৩০-৩৫টি বাইকে চড়ে প্রায় ৬০-৭০ জন আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়েছে। তারা আমার খোঁজ করে। কেন বিজেপি করছি কৈফিয়ত চায়। আমার স্ত্রী প্রাণ বাঁচাতে ছুটে মাঠের ধারে পালিয়ে আসেন। তৃণমূলের ওই লোকজন আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর করে, লুটপাট চালায়।" তাঁর আরও অভিযোগ,"আমাদের বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি ১৩ হাজার টাকা, এক জোড়া সোনার কানের দুল এবং একটি স্মার্টফোন লুট করে নিয়ে গিয়েছে।"
জানা গিয়েছে, স্ত্রীর কাছে ফোন পেয়েই বিকাশবাবু ঘটনার কথা জানান প্রার্থী পিয়া সাহাকে। প্রার্থী রাতেই বাঁশরা গ্রামে দলীয় নেতার বাড়িতে আসেন। তার পর তিনি কয়েকজন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যান। পিয়া সাহা বলেন,"তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তাই জনসমর্থন হারিয়ে সন্ত্রাসের রাস্তা ধরছে। আমি পুলিশের কাছে দাবি করেছি অবিলম্বে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে হবে।" রাতেই বিকাশ কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহনাওয়াজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "এসব মিথ্যা অভিযোগ। ভোটের আগে বিজেপি বাজার গরম করতে চাইছে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।" জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।