তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে সরকারি মঞ্চে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব মঞ্চে উঠতেই বিজেপি কর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীদের এই আচরণে বিরক্ত মেয়র। যদিও নিজের ভাষণে এই নতুন টার্মিনাল তৈরিতে রাজ্য সরকার ঠিক কীভাবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জমি দিয়ে সাহায্য করেছে, তা সবিস্তারে জানান মেয়র। বিজেপি কর্মীদের স্লোগানের বিরুদ্ধে পরে ক্ষোভও উগড়ে দেন।
শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠে ভারচুয়াল সভার মাধ্যমে শিলান্যাস হল বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজের। বেনারস থেকে নতুন টার্মিনাল কাজের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানের ভারচুয়ালি সকলের সামনে তুলে ধরার বন্দোবস্ত করেছিল দার্জিলিং জেলা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিনের অনুষ্ঠানে মেয়র ও দার্জিলিংয়ের সাংসদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়ার বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন, দুর্গা মুর্মু-সহ একাধিক সরকারি প্রতিনিধি। গৌতম দেব বলেন, “সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে আমি সংযত থেকে কাজ করেছি। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ওঁরা না রাখলেও আমি আমাদের নীতি, সংস্কৃতি বজায় রেখে কাজ করেছি।”
উল্লেখ্য, বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল তৈরির ক্ষেত্রে ১৫ হাজার কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই প্রকল্পে ৭০ হাজার ৩৯০ স্কোয়ার মিটারের নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং তৈরি হবে বাগডোগরা বিমানবন্দরে। তার ফলে বিমানবন্দরে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও বিমানবন্দরে এ-৩২১ এয়ারক্র্যাফ্ট পার্কিংয়ের জন্য নতুন ১০টি ‘পার্কিং বে’ তৈরি করা হবে। সাংসদের আরও দাবি সম্পূর্ণ কাজ সময়মতো শেষ হওয়ার পর এই বাগডোগরা বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে। মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “এই নতুন টার্মিনাল চালু হলে সাধারণ যাত্রীদের যেমন সুবিধে হবে, ঠিক তেমনই উত্তর-পূর্ব ভারতের পর্যটন ব্যবসাও উন্নত হবে।”