সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দিলীপ ঘোষের মুখে যখন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা শোনা যাচ্ছে, তখন দিলীপবাবুর দলেরই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলছেন হিংসার কথা। বুধবার বীরভূমের হাঁসন বিধানসভার বিষ্ণুপুর গ্রামে পঞ্চায়েত স্তরে বুথ কর্মীদের নিয়ে সভা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘লাঠির জবাব লাঠিতে দিন। কেউ যদি ভোট লুট করতে আসে, তাহলে তার সর্বস্ব লুট করে বাড়ি পাঠিয়ে দিন।’’
অনুব্রত মণ্ডলের জেলবন্দির পরে বীরভূমকে টার্গেট করেছে বিজেপি (BJP)। এদিন সেখানেই ছন্নছাড়া দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে শাসক দলের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে এভাবেই পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার পক্ষেই সওয়াল করছেন বলে অভিযোগ শাসকদলের। সুকান্তর উপস্থিতিতেই দলের বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাও মহিলা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘বাড়িতে বাড়িতে ত্রিশূল বানিয়ে রাখুন।’’
[আরও পড়ুন: ‘রক্ত-খুন-বন্দুক দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট চায়’, তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ লকেটের, পালটা দিলেন কুণাল]
পঞ্চায়েত ভোটে আত্মরক্ষার জন্য ত্রিশূল রাখার কথা বলে বিতর্ক তৈরি করেছেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Raju Banerjee)। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, বিজেপির সুকান্ত মজুমদাররা পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে এভাবে হিংসামূলক কথাবার্তা বলছেন, অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আবার শান্তিপূর্ণ ভোটের পক্ষে সওয়াল করছেন। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এদিন বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোকেরা টিকিট না পেলে বিক্ষুব্ধ বা নির্দল হয়ে যাবেন। ৫০ শতাংশ তৃণমূল নির্দল হয়ে যাবে।’’ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পালটা তোপ, ‘‘দিলীপ ঘোষ আগে নিজের ঘর সামলান। তৃণমূল কংগ্রেস অনেক বড় দল। আমাদের বুথভিত্তিক সংগঠন আছে।’’
এদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) চেয়ে বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনেও যায় বিজেপি। বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া এদিন কমিশনে যান। কমিশনে চিঠি দিয়ে বিজেপির তরফে এও দাবি করা হয়েছে, অনলাইনে যাতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।