রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) থাবায় কাবু হয়ে আপাতত হাসপাতালে ভরতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumder)। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে সোমবারই ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সৌজন্যের আবহ বজায় রেখে আরোগ্য কামনায় শুভেচ্ছাবার্তার সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন ফলের ঝুড়িও। তার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। একইসঙ্গে দ্বন্দ্ব জিইয়ে রেখে বিঁধলেনও। লিখলেন, এই সৌজন্য যদি উনি প্রধানমন্ত্রীকে দেখাতেন, তাহলে আরও খুশি হতেন সুকান্তবাবু। তাঁর এই পোস্ট থেকেই স্পষ্ট, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে রাজনৈতিক সৌজন্যের পরিবেশ পুরোপুরি বজায় রাখা হলেও গেরুয়া শিবিরের ভূমিকায় কিন্তু তাতে তাল কাটছে।
জ্বর, সর্দি, কাশি-সহ করোনার একাধিক উপসর্গে ভোগায় রবিবার ব়্যাপিড টেস্ট করান সুকান্ত মজুমদার। আরটি-পিসিআর টেস্টেও রিপোর্টও পজিটিভই আসে। রবিবার সন্ধেবেলা দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত জ্বর আর নেই, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সর্দি, কাশি এখনও আছে।
[আরও পড়ুন: বিজেপির দোসর কংগ্রেস! ফের হাত শিবিরের দ্বিচারিতা নিয়ে সরব তৃণমূলের মুখপত্র ]
এই খবর জানার পরই সোমবার সকালে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সাড়ে এগারোটা নাগাদ ফোন আসে। প্রায় আড়াই মিনিটের মতো কথা হয় দু’জনের। শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রীর। কোনও সমস্যা হলে জানাতেও বলেছেন তিনি। পরে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে তাঁর দ্রুত সুস্থতার শুভেচ্ছায় ফলের ঝুড়ি পাঠানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে।
এরপর ফেসবুকে (Facebook post) একটি পোস্ট করে সুকান্তবাবু লেখেন, ”মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। এই জন্য ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। উনি আমার প্রতি যে রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়েছেন, তা ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দেখালে আমি আরও খুশি হতাম।” পোস্টের শেষের অংশেই স্পষ্ট, ধন্যবাদ দিয়েও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ফের উসকে দিতে কসুর করলেন না বিজেপি রাজ্য সভাপতি।