অর্ণব দাস, বারাসত: ফের কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ। অপরাধীদের নাগালে পেতে শুক্রবার ভোরে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার বহু এলাকায় তল্লাশি চালাল এমফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। অশোকনগর, দমদম, বাইপাস লাগোয়া একাধিক এলাকায় চলে তল্লাশি। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা।
বাংলাদেশের (Bangladesh) টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লেনদেন করা হচ্ছে এবং কোটি কোটি আর্থিক তছরুপের অভিযোগে রাজ্যের অন্তত সাত থেকে আটটি জায়গায় শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি চলে। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে (Ashoknagar) তিনটি জায়গায় একসঙ্গে অভিযান চালান ED কর্তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগরের মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধা মূলত বাংলাদেশ থাকেন। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাতটি ভুয়ো সংস্থার নামে টাকা তোলা হত। ব্যাংক থেকে ৩০০ কোটি টাকা বেআইনি লেনদেন হয় বলে খবর।
[আরও পড়ুন: দু’বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেও এখনই বিশ্রাম নেবেন না, জানিয়ে দিলেন মোদি]
ইডির সূত্রে খবর, সুকুমার মৃধা মাছ ব্যবসার আড়ালে হাওয়ালার মাধ্যমে এদেশে টাকা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জমিজায়গা কেনে। অশোকনগরে একাধিক বাড়ি ও দোকান রয়েছে এই সুকুমার মৃধার। এর সঙ্গে যে নাম উঠে আসছে প্রশান্ত হালদার তার মারফত এদেশে টাকা নিয়ে আসে সুকুমার মৃধা। এদিন অশোকনগরে সুকুমার মৃধার সহ প্রণব হালদার ও স্বপন মিশ্রর বাড়িতে একযোগে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: দেশে এখনও সক্রিয় ‘ডি-কোম্পানি’! দাউদ-সঙ্গী ছোটা শাকিলের দুই সাগরেদ গ্রেপ্তার মুম্বইয়ে]
সুকুমার মৃধার সঙ্গে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার যে টাকা আসত এদেশে, তা খাটানো হত একাধিক ব্যবসায়। আর এভাবেই এদেশেও জাঁকিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে সুকুমার মৃধা। ইডির স্ক্যানারে তার ও ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নানা কার্যকলাপ। জানা গিয়েছে, অশোকনগরে সুকুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি হাতে পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। গোটা চক্রের হদিশ পেতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।