সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ফের রক্তাক্ত আফগানিস্তান। শনিবার কাবুলের একটি স্কুলে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫০ জন পড়ুয়ার। আহত কমপক্ষে ১০০ জন।
[আরও পড়ুন: জন্মদিনের পার্টিতে বন্দুকবাজের তাণ্ডব, ৬ জনকে খুন করে আত্মঘাতী হামলাকারী]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রাজধানী কাবুলের দস্ত-এ-বারচি এলাকায় ‘সৈয়দ সুহাদা’ নামের একটি স্কুলে ছাত্রীদের লক্ষ করে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। ওই এলাকায় মূলত শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের মুসলমানদের বাস। বহুকাল ধরেই এই সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালিয়ে আসছে তালিবান, আল কায়দা ও ইসলামিক স্টেটের মতো সুন্নি প্রধান জেহাদি সংগঠনগুলি। ফলে এদিনের হামলার নেপথ্যে তালিবানের হাত থাকতে পারে বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা। যদিও বিস্ফোরণের দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। তবে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই হামলার দায় ইসলামিক স্টেটের উপর চাপিয়েছে তালিবান। এদিকে, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ভারত। রমজানের পবিত্র মাসে ছাত্রীদের উপর এহেন নৃশংস হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছে নয়াদিল্লি।
উল্লেখ্য, স্কুলে ভয়াবহ হামলার পর ইদ উপলক্ষে তিনদিনের সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করেছে তালিবান। বলে রাখা ভাল, আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু করেছে আমেরিকা। ফলে দেশটিতে ফের ক্ষমতা দখল করতে পারে তালিবান বলে আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়ে উঠেছে। আর তেমনটা হলে সে দেশে মেয়েদের অধিকার খর্ব হবে। কয়েকদিন আগেই মার্কিন গোয়েন্দাদের তৈরি করা এক রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়। আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা কাউন্সিলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, “২০০১ সালে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে তালিবানের মানসিকতা ও মেয়েদের অধিকার সংক্রান্ত অবস্থান মোটেও পালটায়নি। ফলে এই আশঙ্কাটা রয়েই যাচ্ছে যে গত দু’দশক ধরে নারী সুরক্ষা ও অধিকার নিয়ে দেশটিতে প্রগতিমূলক যা কাজ হয়েছে, তা বিফলে যেতে পারে। খর্ব হতে পারে মেয়েদের অধিকার।” ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে যে আফগানিস্তানে মহিলাদের অধিকার সুরক্ষিত করতে বিগত দিনে যা কাজ হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক চাপের জন্য। এই ক্ষেত্রে আফগান সমাজ বা সরকারের তেমন সদিচ্ছা নেই। ফলে তালিবান ক্ষমতায় না ফিরলেও দেশটি থেকে মিত্রবাহিনী ফিরে গেলে মহিলাদের অধিকার হরণ করা হতে পারে।