সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: একের পর এক দুর্ঘটনায় রাজ্যে আতসবাজি শিল্প বন্ধ। যার জেরে ব্যবসায়ীদের রুটিরুজিতে টান পড়েছে। আদালতের নির্দেশ ও সরকারি নিয়মনীতি মেনে বৈধভাবে যে সমস্ত আতসবাজি প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতারা ব্যবসা করতে চান তাঁদের ছয়দফা দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আতসবাজি ব্যবসায়ী সমিতি।
রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার নুঙ্গিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আতসবাজি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শুকদেব নস্কর জানান, রাজ্যে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ এই আতসবাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬০ হাজার মানুষ এবং মহেশতলা-বজবজে প্রায় ১৬ হাজার মানুষ এই শিল্পের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। অথচ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে আতসবাজি শিল্পের সঙ্গে জড়িত বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর জীবন ও জীবিকা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এদিন তিনি দাবি জানান, অবিলম্বে অসাধু ও সাধু ব্যবসায়ীদের পৃথক করুক সরকার।
[আরও পড়ুন: তরুণদের অগ্রাধিকারে সিপিএমের হোলটাইমারেও কি অবসর প্রথা? তুঙ্গে জল্পনা]
যে ৬ দফা দাবি সমিতি এদিন পেশ করে সেগুলি হল রাজ্যে যে সমস্ত ব্যবসায়ী পরিবেশবান্ধব সবুজ আতসবাজি তৈরির জন্য এনইইআরআই থেকে এমিসন টেস্ট সার্টিফিকেট পেয়েছেন তাঁদের সবুজ আতসবাজি তৈরির ছাড়পত্র দেওয়া, যাঁরা নিরি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁদের লাইসেন্স দেওয়া ও ক্লাস্টারের মাধ্যমে সবুজ আতসবাজি তৈরির ছাড়পত্র দেওয়া, বিক্রির লাইসেন্স থাকলে সেই লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা, লাইসেন্স যাঁদের নেই, তাঁদের টেম্পোরারি লাইসেন্স দেওয়া, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও মহেশতলা-বজবজে ৮.৫ একর জমিতে দ্রুত ক্লাস্টার তৈরি যাতে লাইসেন্সহীন ব্যবসায়ীরা সেখানে নিরাপদে পরিবেশবান্ধব আতসবাজি তৈরি করতে পারেন। তিনি জানান, সামনেই উৎসবের মরশুম। এখনই দাবিগুলি পূরণ করা না হলে বাজি ব্যবসায়ীদের জীবনজীবিকা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।