অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: সিলিন্ডার ফেটে হাওড়ার কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। গুরুতর জখম ২ শ্রমিক। অভিযোগ, দুর্ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে কারখানার মালিক। শেষপর্যন্ত এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। তারা এসে জখম দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, কীভাবে বেআইনি কারখানা চলছিল, তা নিয়ে তদন্তে শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বেলুড়ের বজরংবলী লোহা বাজারের কারখানায় একটি পুরনো গ্যাস সিলিন্ডার কাটার কাজ চলছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেখানে বহু পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করেন। এদিন সেই কাজ চলার সময় সিলিন্ডারের ভিতরে জমে থাকা গ্যাসে আগুন লেগে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাজার-সহ ৫০০ মিটার দূরের সরকারি আবাসনও। দুই শ্রমিক গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে দুই শ্রমিক গ্যাসকাটার দিয়ে সিলিন্ডার কাটছিলেন তাঁদের দেহের মাংস ১৫ ফুট দূরের দেওয়ালে ছিটকে গিয়ে পড়ে। অমিত নামে শর্মা এক শ্রমিকের বাঁ হাত কনুই থেকে উড়ে গিয়েছে। তারক সাঁতরা নামে আরেক শ্রমিকের ডান থাইয়ের মাংস ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। দুজন পিজি ট্রমা কেয়ারের রেড জোনে ভর্তি। অর্থোপেডিক, প্লাস্টিক সার্জারি, শল্য বিভাগের চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করছেন।
[আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরি! ক্রিস গেইলকে পিছনে ফেলে বিশ্বরেকর্ড ‘ভারতীয়’র]
অভিযোগ, প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিস্ফোরণের পর কাউকে খবর দেওয়া হয়নি। শ্রমিকদের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তারাই পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে জখম শ্রমিকদের টিএল জওসওয়াল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তদন্তে এলাকা যান ডিসি নর্থ বিশপ সরকার। তাঁর কথায়, "কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত জখমদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে যদি দেখা যায়, এখানে কোনও বেনিয়ম হয়েছে, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"