সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীন তাইওয়ান নয়, ‘এক চিন’ নীতিতেই বিশ্বাস করে আমেরিকা। চিন সফরে গিয়ে এমনটাই বার্তা দিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দেন যে স্থিতাবস্থায় একতরফা বদল মেনে নেওয়া হবে না।
আধিপত্যের লড়াইয়ের মাঝেই গত রবিবার বেজিং পৌঁছন ব্লিঙ্কেন। গতকাল সোমবার চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। তারপর চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন মার্কিন বিদেশ সচিব। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই বৈঠকেই উঠে আসে তাইওয়ান প্রসঙ্গ। ব্লিঙ্কেন সাফ জানান, কয়েক দশকের প্রথা মোতাবেক এখনও ‘এক চিন’ নীতিই মেনে চলছেন তাঁরা। ফলে, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না আমেরিকা। তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দেন যে স্থিতাবস্থায় একতরফা বদল মেনে নেওয়া হবে না।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এক চিন নীতির কথা বললেও বরাবর তাইওয়ানকে (Taiwan) যুদ্ধের হাতিয়ার জুগিয়ে আসছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একাধিকবার বিশ্বমঞ্চে বলেছেন, চিন যদি তাইওয়ানে আগ্রাসন চালায়, তাহলে পালটা মার দেবে আমেরিকা। এহেন পরিস্থিতিতে ব্লিঙ্কেনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কারণ, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বাড়িয়েই চলেছে চিন! যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকছে চিনা রণতরী। বারবার প্রবেশ করছে লালফৌজের যুদ্ধবিমানও। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাইওয়ান কি ইউক্রেন হয়ে উঠবে?
[আরও পড়ুন: জাহাজডুবিতে মৃত ৩০০ পাক নাগরিক, তদন্তকারীদের হাতে গ্রেপ্তার ১০ পাচারকারী]
বিশ্লেষকদের মতে, দু’দিনের চিন সফরে ব্লিঙ্কেনের এই মন্তব্য তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা কিছুটা কমবে। তবে জিনপিংয়ের সামনেই ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তার জন্য তোপ দাগেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, “রাশিয়ার সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে চিনের কিছু সংস্থার ভূমিকা রয়েছে। আমাদের আশা রাশিয়াকে কোনও বিধ্বংসী অস্ত্র দেবে না চিন।”
এদিকে, ব্লিঙ্কেনের তাইওয়ান মন্তব্যে চিন কিছুটা খুশি হলেও বরফ সম্পূর্ণ গলেনি। কারণ, ‘মিলিটারি টু মিলিটারি কমিউনিকেশন’ বা দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সামরিক স্তরে যোগাযোগ তৈরি করার মার্কিন আরজি উড়িয়ে দিয়েছেন শি জিনপিং।