shono
Advertisement

চিনা ‘ফাঁদে’পা দিতে নারাজ পাকিস্তান, জোর ধাক্কা খেল OBOR

মোহভঙ্গ! বেজিংয়ের দিক থেকে কি মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে ইসলামাবাদ?
Posted: 12:39 PM Nov 16, 2017Updated: 11:50 AM Sep 24, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে মোহভঙ্গ হয়েছে পাকিস্তানের! OBOR প্রকল্পের অন্তর্গত CPEC বা ‘চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর নিয়ে বেজিং ও ইসলামাবাদের মধ্যে চড়ছে পারদ। সম্প্রতি পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে মিলছে এমনই ইঙ্গিত।

Advertisement

জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একটি ‘মেগা ড্যাম’ বা বিশাল বাঁধ নির্মাণের চিনা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। CPEC-র অন্তর্গত দিয়ামের-ভাশা বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দেয় বেজিং। তবে সঙ্গে বেশ কিছু ‘কঠিন’ শর্তও জুড়ে দেয় শি জিনপিংয়ের সরকার। পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, চিনা শর্ত মানতে নারাজ পাকিস্তান। জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী চিনের দাবি মানলে আখেরে লোকসান হবে বলেই মত পাক নীতি নির্ধারকদের। তাই চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর থেকে ওই প্রকল্পটি বাদ দেওয়ার আরজি জানিয়েছে তারা। তবে অনেকেই মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে পাক সেনা। কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই জায়গা চিনের হাতে ছেড়ে দিতে চাইছে না পাক সেনা৷

[পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছিনিয়ে আনার হিম্মত নেই, বিস্ফোরক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী]

তা এমন কী শর্ত আরোপ করল চিন, যার জেরে ফাটল ধরেছে দুই ‘পরম বন্ধু’র সম্পর্কে? পাক আধিকারিদের দাবি, বাঁধটি নির্মাণ করতে খরচ হবে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু চিনা বিনিয়োগকারীদের চড়া সুদে সেই খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ১৪ বিলিয়ন ডলারে। এছাড়াও বাঁধটির নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখতে চাইছে বেজিং। সেক্ষেত্রে ওই জায়গায় ঘাঁটি গাড়বে লালফৌজ৷ ফলে নিজেই বাঁধটি তৈরি করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের ‘ওয়াটার এন্ড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি’-র চেয়ারম্যান মুজাম্মিল হুসেন। প্রকল্পটিতে স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহিদ আব্বাসি বলে পাক সংসদে জানান হুসেন।

পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তে প্রবল শোরগোল পড়ে গিয়েছে বেজিংয়ের অলিন্দে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইসলামাবাদের এই সিদ্ধান্তে জোর ধাক্কা খাবে CPEC। যার জের পড়বে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। কমিউনিস্ট দেশটি যে ঋণের ফাঁদ পেতেছে তা শেষমেষ বুঝতে পারছে পাকিস্তান। উল্লেখ্য, পরিকাঠামো নির্মাণের নাম ঋণ দিয়ে শ্রীলঙ্কার থেকেও হামবানটোটা বন্দর হাতিয়ে নিয়েছে চিন। উল্লেখ্য, আগেও বাঁধটি নির্মাণ করার জন্য ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক’ থেকে ঋণ চেয়েছিল পাকিস্তান। তবে বিতর্কিত ভূখণ্ডে থাকায় ওই আবেদন নাকচ করে দেয় ব্যাঙ্ক।

প্রসঙ্গত, CPEC প্রকল্পের অন্তর্গত চিনের জিনজিয়াং থেকে পাকিস্তানের কাশগর পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করা হবে। ওই সড়কের একটি অংশ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে যাবে। ফলে এই প্রকল্পের তীব্র প্রতিবাদ করে আসছে ভারত। এবার চিন-পাকিস্তানের মধ্যে টানাপোড়েন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা উৎফুল্ল নয়াদিল্লি, বলেই মত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

[মধ্যপ্রদেশে টিকিট কাটলেও ট্রেনে উঠতে হবে রাজস্থান থেকে, জানেন কেন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement