সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরভর দেশ জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে ব্লু হোয়েল। নীল তিমির আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছিল অভিভাবকদের। এই চিন্তায় যে তাঁদের সন্তানও কি এই অনলাইন গেমের আসক্তিতে ভুগছে। মাঝে সেই আতঙ্ক সামান্য দূর হলেও বছরের শেষ দিন ফের শিরোনামে উঠে এল ব্লু হোয়েলে মৃত্যুর ঘটনা।
[গোড়াতেই টক্কর, রজনীকে অশিক্ষিত বলে তোপ বিজেপি সাংসদের]
ঘটনা হায়দরাবাদের। ১৯ বছরের এক তরুণের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর মুখ প্লাস্টিক দিয়ে মোড়া ছিল বলে জানা গিয়েছে। শনিবার পুলিশকে ছেলের আত্মহত্যার কথা জানান মৃতের বাবা। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের সঙ্গে ম্যাপল টাউন বিলাসে থাকতেন টি বরুণ নামের ওই তরুণ। বি-টেকের ছাত্র ছিলেন তিনি। তাঁর বাবা জানাচ্ছেন, অত্যন্ত শান্ত ও নম্র স্বভাবের ছেলে ছিলেন তরুণ। তাই তাঁর কোনও শত্রু থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করছে না পরিবার। আর সেই কারণেই এই মৃত্যুতে খুনের গন্ধ পাচ্ছেন না তাঁরা। তবে বরুণের বাবা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ব্লু হোয়েল গেমের নেশায় বুঁদ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর ছেলে। আর তাই এই গেমই তাঁর প্রাণ নিল বলে ধারণা বাবার। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশও একই কথা বলছে। তাদের অনুমান, নীল তিমির থাবাতেই ফের একটি তরতাজা প্রাণের বলি হল। পুলিশ ইন্সপেক্টর ভি উমেন্দর বলছেন, “প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ব্লু হোয়েল গেম চ্যালেঞ্জ নিয়েই আত্মহত্যা করেছেন বরুণ। আমরা তাঁর ল্যাপটপ ফরেনসিকে পাঠিয়েছি। সেখান থেকেই বাকি তথ্য মিলবে। এবং বিষয়টি স্পষ্ট হবে।”
[প্রবল যানজটে আটকে গাড়ি, মেট্রো চেপেই বিয়ে আসরে পৌঁছাল বর]
এর আগে হায়দরাবাদের সাইবার ক্রাইম শাখা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে সতর্ক করেছিল। সজাগ থাকতে বলা হয়েছিল অভিভাবকদের। যাতে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারা ব্লু হোয়েলে গেমে আসক্ত না হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রশাসনও। কিন্তু বজ্রআঁটুনিতেও রক্ষা করা গেল না বরুণের মতো তরুণ প্রাণ।
The post বছরশেষে ফের নীল তিমির থাবা, প্রাণ হারালেন বি-টেক ছাত্র appeared first on Sangbad Pratidin.