সুকুমার সরকার, ঢাকা: গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সাধারণ নির্বাচন। যা রুখে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল বিএনপি। বয়কট করেছিল ভোটপ্রক্রিয়াও। কিন্তু তাতে লাভ কিছু হয়নি। নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার দলের বহু নেতা-কর্মীদের আটক করা হয়। এখন তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার কারণে সকলেই কমবেশি হতাশায় ভুগছেন। তাই গোটা রমজান মাসজুড়ে তাঁদের জন্য কর্মসূচি রেখেছে বিএনপি।
এনিয়ে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের মহাসচিব-সহ সারা দেশে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। এখন নেতা-কর্মীরা ধীরে ধীরে মুক্তি পাচ্ছেন। কিন্তু সরকারবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর দলের অনেকেই হতাশায় ভুগছেন। আবার এই মুহূর্তে মাঠের কর্মসূচিও সেভাবে নেই। এই প্রেক্ষিতে, রমজানে সারা দেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পাশাপাশি গরিব-অসহায় মানুষের মধ্যে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
[আরও পড়ুন: ইরানের ছায়া এবার বাংলাদেশে! হিজাব না পরায় ৯ ছাত্রীর চুল কেটে নিলেন শিক্ষিকা]
বিএনপির উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের ভার্চুয়াল সভায় রমজান মাসের কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সেই আলোচনায় অংশ নেন। সেখানে এবারের ইফতার অনুষ্ঠানে জেলবন্দি এবং গুম-খুন হওয়া নেতা-কর্মীদের পরিবার ও সদ্য কারামুক্ত নেতা-কর্মীদের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে কথা হয়। ওই সভায় দ্রব্য ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি দেওয়ার প্রস্তাবও দেন নেতারা। তার পরই রমজান মাসজুড়ে কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।