সুকুমার সরকার, ঢাকা: চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। যা বয়কট করেছিল প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। ভোটপ্রক্রিয়া রুখতে নির্বাচনের আগে গোটা দেশজুড়ে অবরোধ-হরতাল চালিয়ে গিয়েছে খালেদা জিয়ার দল। এবার সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই ভোটে অংশগ্রহণ করছে না আওয়ামি লিগ। দল হিসাবে অংশ নিচ্ছে না বিএনপিও। কিন্তু এবার জানা গিয়েছে, বিএনপির যদি কেউ নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়াতে চায় সেক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখানো হতে পারে।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত বিএনপি এনিয়ে দলীয়ভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে খুব শীঘ্রই দলের স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তাঁরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক লাভ-ক্ষতি নিয়ে ভাবছেন। বিশেষ করে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সরকারের থেকে কী ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে। আর নির্বাচনে না লড়লে বিএনপির রাজনৈতিকভাবে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘সব অভিযোগ মিথ্যা’, হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে বিএনপিকে তোপ রাশিয়ার]
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, বিএনপি শুধু নির্বাচনমুখী দলই নয়, এই দলের ভিত্তিই হল জনগণ ও সুষ্ঠু ভোট। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পরপরই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন দলকে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। বিএনপি ঘোষণা দিয়ে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলে বিরোধীদের কাছ থেকে সরকারের ‘বৈধতা’ পাওয়ার বিষয়টি সামনে আসবে। এতে মনে হতে পারে, বিএনপি সরকারকে মেনে নিয়েছে। এর সুযোগ নেবে এই সরকার। আর নির্বাচনে অংশ না নিলে মাঠপর্যায়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল নেতাদের ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। এমন প্রেক্ষাপটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপির নীতিনির্ধারক নেতারা এখনও দোলাচলে রয়েছেন।
এদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা করেছে। ফলে এই নির্বাচনে আওয়ামি লিগের একক প্রার্থী থাকছে না। সেক্ষেত্রে বিএনপি-সহ বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনে ভালো করার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে। ফলে শেষমেশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনে লড়াই করা নিয়ে খালেদা জিয়ার দল সিদ্ধান্ত বদল করে কি না সেদিকেই ওয়াকিবহাল মহলের।