সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিএনপি (BNP) চেয়ারপার্সন তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবার অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভরতি হলেন হাসপাতালে। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এই তথ্য দিয়েছেন। জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) শরীরে নতুন কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে। এদিকে খালেদা জিয়ার পুত্র তথা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আদালত।
আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া। কিন্তু সম্প্রতি জানা যায়, তিনি আচমকা অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ৭৮ বছর বয়সি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক, এই দাবি জানিয়েছিলেন বিএনপি নেতা। জাহিদ হোসেনের দাবি, খালেদা জিয়ার রোগের উপসর্গ বাড়ছে। এসব রোগের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেশে নেই। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার (Dhaka) অভিজাত পল্লি গুলশানের ফিরোজা ভবন থেকে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
[আরও পড়ুন: অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা পিছনোর উপহার! বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান শিবঠাকুরের স্ত্রী লিপিকা]
এদিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি দেড় ডজন মামলা মাথায় লন্ডনে (London) স্বেচ্ছা নির্বাসিত খালেদা জিয়ার পুত্র তথা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আদালত। এ বিষয়ে নোটিস অনলাইন-সহ সব গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নোটিস পাঠানোর জন্য তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানা সংশোধন করে রিটকারীকে নতুন আবেদন আনতে বলে হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান রিটকারী আইনজীবী কামরুল ইসলামকে এই নির্দেশ দেন।
[আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হাত থাকবে না প্রধান বিচারপতির, আইন আনছে কেন্দ্র]
এর আগে ৮ আগস্ট অনলাইনসহ সব গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করতে হাই কোর্টে আবেদন করেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম-সহ আওয়ামি লিগ ঘরানার আইনজীবীরা। বিচারপতি. মো. খসরুজ্জামান জানতে চান, তারেক রহমানকে তো নোটিস দেওয়া হয়নি, কীভাবে এর শুনানি হবে? রিটকারী আইনজীবী কামরুল ইসলাম উত্তরে বলেন, তারেককে কোনও ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানা সংশোধন করে নতুন আবেদন জানানোর কথা বলে হাই কোর্ট।