সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাত মাস পেরিয়ে গিয়েছে হামাস-বনাম ইজরায়েল যুদ্ধের। গাজায় এখনও হামাস জঙ্গিদের ডেরা বন্দি শতাধিক পণবন্দি। কবে তাঁরা মুক্তি পাবেন? কবে ফিরবেন ঘরে? এর উত্তর জানতে ইজরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাঁদের পরিবার। এর মাঝেই গাজা থেকে উদ্ধার হয়েছে তিন পণবন্দি দেহ। যার মধ্যে রয়েছে জার্মান তরুণী শানি লুকের দেহও। এমনটাই জানিয়েছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
হামাস নিধনে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। খুঁজে খুঁজে নিশানা করা হচ্ছে হামাসের ডেরাগুলোকে। পণবন্দিদের লুকিয়ে রাখা থাকতে পারে এমন জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চলছে। এএনআই সূত্রে খবর, শুক্রবার গাজার একটি অঞ্চলে অভিযান চালায় ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস। তার পরই আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বিবৃতি দিয়ে জানান, রাতভর অভিযানের পর তিন পণবন্দিদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যাঁদের নাম শানি লুক, ইতজাক গেলেরেন্টার ও অ্যামিট বুস্কিলা। তবে ঠিক কোন অঞ্চল থেকে এই দেহগুলো মিলেছে তা স্পষ্টভাবে জানাননি হাগারি।
[আরও পড়ুন: মাদক খেয়ে উদ্দাম যৌনলীলা! মিলনের ‘আজব’ পরীক্ষায় প্রাণ গেল যুবতীর]
৭ অক্টোবর ২০২৩। যা ইজরায়েলের ইতিহাসে আরেক কালো দিন হিসাবে লেখা থাকবে। ওইদিন একদিকে সুপারনোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে মেতে উঠেছিলেন বহু মানুষ। তখনই ইজরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের হামাস জঙ্গিরা। আছড়ে পড়ে শয়ে শয়ে রকেট। ইহুদি দেশটিতে ঢুকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুশোর উপর মানুষকে। সেই সময় ওই ফেস্টিভ্যালে ছিলেন জার্মান তরুণী শানি লুক, ইতজাক গেলেরেন্টার ও অ্যামিট বুস্কিলা। জেহাদিদের হাতে থেকে বাঁচতে পারেননি তাঁরা। তিনজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। গত অক্টোবর মাসে শানির খুলির অংশ পেয়েছিল ইজরায়েলি ফৌজ। যা নিয়ে ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট ইৎজ্যাক হারজোগ অভিযোগ জানিয়েছিলেন, জার্মান তরুণীর মুণ্ডচ্ছেদ করেছে হামাস জঙ্গিরা।
[আরও পড়ুন: ‘মানবাধিকার নিয়ে ভারতকে জ্ঞান দিয়ে লাভ নেই’, মত ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন জনপ্রতিনিধিদের]
বলে রাখা ভালো, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালানোর পর সাধারণ মানুষদের উপর হামাসের নির্মম অত্যাচারের ছবি দেখে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে গোটা বিশ্ব। প্রকাশ্যে এসেছিল শানির উপর হওয়া অকথ্য অত্যাচারের ভিডিও। যেখানে দেখা যায়, এক তরুণীর নগ্ন দেহ হামাস জঙ্গিরা পিকআপ ভ্যানে নিয়ে ঘোরাচ্ছে। পরে জানা যায় সেই তরুণী পেশায় ট্যাটু শিল্পী শানি লুক।