দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: নরেন্দ্রপুরে (Narendrapur) এক ব্যক্তির রহস্যমৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার গুলিবিদ্ধ দেহ। কীভাবে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির? তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি নেপথ্যে অন্য রহস্য তা জানার চেষ্টায় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার বাসিন্দা ছিলেন ভোলা দাস নামে ওই ব্যক্তি। পেশায় কেবল ব্যবসায়ী। বিয়ে করেননি তিনি। বাবা-মা, দাদার সঙ্গেই থাকতেন ভোলা। পাশাপাশি ঘর ছিল সকলের। পরিবার সূত্রে খবর, অন্যান্যদিনের মতো শনিবার রাতে বাড়ি এসে ঘুমিয়ে পড়েন ভোলা। ভোর রাতে তাঁর ঘর থেকে গুলির শব্দ শুনতে পান বাবা-দাদারা। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: নতুন প্রশিক্ষকই দায়ী, ডুমুরজলায় সাঁতার শিখতে গিয়ে বালকের প্রাণহানিতে অভিযোগ মায়ের]
ভোলার ঘরের দরজা খুলতেই পরিবারের সদস্যরা দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেয় পড়েছিলেন ভোলার দেহ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, আত্মঘাতী হয়েছেন ভোলা। কিন্তু সেক্ষেত্রে বন্দুক কোথায় পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদি ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে কারণ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
তবে এই মৃত্যুর ঘটনায় আরও বেশ কয়েকটি প্রশ্ন থাকছেই। কারণ, ভোলার পায়ের উপরের দিকে গুলি লেগেছে। আত্মহত্যার জন্য পায়ে কেন গুলি করবেন, নিঃসন্দেহে তা বড় প্রশ্ন। এদিকে ঘটনার সময় খোলা ছিল ভোলার ঘরের দরজা, তাও যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভোলা দাস আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি খুন করা হয়েছে তাঁকে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।