শংকরকুমার রায়, উত্তর দিনাজপুর: সাতসকালে বাড়ির বারান্দা থেকে উদ্ধার দম্পতির রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। মৃতার বাপের বাড়ি দাবি, খুন করা হয়েছে দম্পতিকে। তবে প্রতিবেশীদের দাবি, আত্মঘাতী দম্পতি। তাঁদের দেহ ইতিমধ্যেই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম প্রকাশ রায় ও পুষ্পা রায়। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার সোনাপুর বাজারের রামপাড়া এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। তাঁদের আট বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। মহিলার ভাইয়ের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। প্রসবের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সোমবার তাঁর কাছে হাসপাতালে গিয়েছিলেন পুষ্পা। বাড়িতে ফিরেও আসেন। এর পর বাপের বাড়ির সদস্যরা তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি। পরে পুষ্পাদেবীর ভাই দিদিকে খুঁজতে এসে দেখেন বাড়ির বারান্দায় পড়ে দম্পতির রক্তাক্ত দেহ।
[আরও পড়ুন: অডিট শেষের পরই পঞ্চায়েত অফিসে চুরি, তছনছ ৭ আলমারি, লোপাট নথি]
এর পরই এলাকার বাসিন্দারা খবর পান। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে তড়িঘড়ি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যরা জানিয়েছে, প্রকাশের ভাইয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেই কারণেই নাকি ওই দম্পতিকে খুন করা হয়েছে। এদিকে প্রতিবেশীদের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই দম্পতি। তবে আদতে বিষয়টা ঠিক কী তা এখনও স্পষ্ট নয়। খুনের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।