টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: হোমগার্ডের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার ন্যাকড়াপচা এলাকায়। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে একটি পোস্টার। মাওবাদীরা যেভাবে পোস্টার লেখে, তার সঙ্গে মিল রয়েছে এই পোস্টারের। অন্যদিকে, এক মহিলার সঙ্গে মৃতের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলেও জানা গিয়েছে। তা নিয়ে চলছিল অশান্তিও। তবে কী কারণে খুন, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সিদ্ধার্থ পাল। বাঁকুড়ার (Bankura) ন্যাকড়াপচা এলাকায় থাকতেন তিনি। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ। ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল বিভিন্ন জিনিস পত্র। বাড়ির পাশ থেকেই উদ্ধার হয় একটি পোস্টার। তাতে লেখা ছিল, “চাকরির নাম করে ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছে। কিন্তু দেয়নি…..।” পোস্টার নজরে পড়ার পর প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের ধারণা হয়, চাকরির নামে টাকা তোলার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই প্রাণ গিয়েছে সিদ্ধার্থর। মৃত ব্যক্তি বিভিন্ন অছিলায় বহু লোকের থেকে টাকা নিতেন বলেও দাবি করেন স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেয়েই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, পারিবারিক বিবাদের জেরেও এই খুন হয়ে থাকতে পারে। যদিও এই নৃশংস ঘটনার নেপথ্যে অন্য রহস্য রয়েছে বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করেই ২০ হাজার লোক নিয়ে বিজয় উৎসবের ডাক মদন মিত্রর!]
এলাকারই এক বিবাহিতা মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সিদ্ধার্থর। কোনওভাবে তা ওই বধূর স্বামী জানতে পেরে যান। এরপরই শুরু হয় অশান্তি। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, প্রেমিকার স্বামীর হাতেই খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন মাওবাদীদের লিংকম্যান হিসেবে কাজ করতেন তিনি। পরবর্তীতে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এরপরই হোম গার্ডের চাকরি পান সিদ্ধার্থ। কিছুদিন আগেই ট্রান্সফার হয়ে বাড়িকুল থানায় আসেন তিনি। সেখানে কর্মরত অবস্থাতেই এই ঘটনা। এই মৃত্যুর নেপথ্যে কী রয়েছে, তা দ্রুতই প্রকাশ্যে আসবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।