অর্ণব আইচ ও সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: ম্যাজিক দেখাতে গিয়ে সলিলসমাধি৷ গোটা একদিন পর হাওড়ার কাছাকাছি রামকৃষ্ণপুর ঘাট থেকে উদ্ধার হল জাদুকর চঞ্চল লাহিড়ীর মৃতদেহ৷ প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, উদ্ধার হওয়া দেহটি রবিবার গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া জাদুকর চঞ্চল লাহিড়ীর। দেহটি শনাক্তকরণের জন্য পরিবারকে খবর পাঠালে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৩০৪ এ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: আন্দোলনের হুঙ্কার ছেড়ে নরম সুরে আলোচনা, নবান্নের বৈঠকে ভিন্ন রূপে জুনিয়র ডাক্তাররা]
জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা ৪ টে নাগাদ রামকৃষ্ণপুর ঘাট থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই, খবর দেওয়া হয় উত্তর বন্দর থানায়। জানা গিয়েছে, মৃতের পরনে ছিল হলুদ রঙয়ের জামা ও লাল প্যান্ট। মাথায় ছিল হলুদ পরচুল। পুলিশ আধিকারিকদের অনুমান, দেহটি রবিবার গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া জাদুকর চঞ্চল লাহিড়ীর। এরপরই দেহটি নিয়ে যাওয়া হয় বাজে কদমতলা ঘাটে। দেহটি শনাক্ত করার জন্য খবর পাঠানো হয় চঞ্চল লাহিড়ীর সোনারপুরের বাড়িতে৷ জানা গিয়েছে, জাদুকরের পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেন তাঁর বাবা৷ এরপর দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে৷
রবিবার দুপুর পৌনে একটা নাগাদ সোনারপুরের বাসিন্দা জাদুকর চঞ্চল লাহিড়ী ফেয়ারলি ঘাট থেকে লঞ্চে ওঠেন৷ ২৮ নম্বর পিলারের কাছে লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দেন তিনি৷ পরিকল্পনা ছিল, তাঁর হাত-পা-মুখ বাঁধা থাকবে৷ হাওড়া ব্রিজে থাকা ক্রেন দিয়ে তাঁকে লঞ্চ থেকে প্রথমে তোলা হবে৷ তারপর ওই ক্রেন থেকেই গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলা হবে৷ সেখান থেকে তিনি নিজেই উঠে আসবেন৷
[আরও পড়ুন: এনআরএস কাণ্ড LIVE: অচলাবস্থা কাটার ইঙ্গিত, বৈঠক শেষে হাততালি জুনিয়র ডাক্তারদের]
সেইমতো তিনি ফেয়ারলি ঘাট থেকে মাঝগঙ্গা পর্যন্ত যান চঞ্চল লাহিড়ী৷ হাওড়া ব্রিজের উপরে থাকা ক্রেন তাঁকে তুলে নেয়৷ এরপর সেখান থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয় গঙ্গায়৷ মাঝনদীতে তিনি ডুবে যান৷ কিছুক্ষণ পর তাঁর উঠে আসার কথা৷ কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পরও উঠে আসতে পারেননি তিনি। এরপরই জানা যায় তলিয়ে গেছেন তিনি। ডুবুরি নামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। একদিন পর দেহ উদ্ধার হল৷ এর আগেও বহুবার ম্যাজিক দেখাতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন চঞ্চল লাহিড়ী৷ তবে এবার জীবনের ইতি পড়ল৷
The post খোঁজ মিলল ম্যানড্রেকের, হাওড়ার ঘাট থেকে উদ্ধার হওয়া দেহ শনাক্ত পরিবারের appeared first on Sangbad Pratidin.