রাজা দাস, বালুরঘাট: স্কুলের ভিতর শিক্ষকের রহস্যমৃত্যু। উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি নুরপুর জুনিয়র হাই স্কুলে। আত্মঘাতী হয়েছেন ওই শিক্ষক নাকি খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত শিক্ষকের নাম কৃষ্ণ বসাক। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারির বাতাসকুড়ির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন কুশমণ্ডির একটি স্কুলে চাকরি করতেন। সম্প্রতি বংশীহারি ব্লকের নুরপুর জুনিয়র হাই স্কুলে কাজে যোগ দেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন কৃষ্ণ। আর ফেরেননি তিনি। সন্ধে হয়ে গেলে এলাকায় খোঁজখবর শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কোথাও তাঁর হদিশ মেলেনি।
[আরও পড়ুন: রাঁধুনি থেকে শিক্ষাদপ্তরে চাকরি, আচমকাই পালটে যায় অর্পিতার ষষ্ঠ শ্রেণি পাশ বোনের জীবন]
এলাকার বাসিন্দারাও কৃষ্ণের খোঁজ শুরু করেন। এরপর স্কুলের সামনে একটি বাইক দেখতে পান তাঁরা। ভিতরে ঢুকতেই দেখতে পান, একটি ক্লাস রুমে ঝুলছে কৃষ্ণের দেহ। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই শিক্ষক। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদকে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বছর ১০ আগে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় কৃ্ষ্ণ বসাকের। তারপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু কৃ্ষ্ণের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও তাঁর প্রথম স্ত্রী নানাভাবে অশান্তি করতেন বলে অভিযোগ। যার জেরে কৃ্ষ্ণ ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যেও অশান্তি চলত। এই মানসিক চাপের জেরেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষ্ণ, দাবি পরিবারের একাংশের।