সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সাতসকালে এক শিশু ও এক যুবকের নলিকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। খবর পাওয়ামাত্রই দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। যুবকই খুন করেছে শিশুটিকে? নাকি অন্য কেউ দু’জনকে খুন করেছে, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।
পূ্র্ব বর্ধমানের কালনার (Kalna) মতিশ্বর ময়নাগড়ের বাসিন্দা গোবিন্দ মাড্ডি নামে যুবক। মৃত বছর আড়াইয়ের জয় কিস্কুর প্রতিবেশী তিনি। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে শিশুটিকে নিয়ে এলাকায় ঘুরতে যান গোবিন্দ। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও তাঁরা ফেরেনি। সেই কারণে শিশুটির ঠাকুমা তাঁদের খুঁজতে বের হন। এরপরই বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে একটি খামারবাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। দু’জনেরই নলি কাটা ছিল। ওই দৃশ্য দেখে আর্তনাদ শুরু করেন খুদের ঠাকুমা। এরপরই জড়ো হয় প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। প্রতিবেশী সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুটির। যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।
[আরও পড়ুন: দেহব্যবসায় আপত্তি, প্রতিশোধ নিতে চার বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে ‘গণধর্ষণ’ করাল স্বামী]
এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে। শিশুটিকে খুন করল কে? ওই যুবকই কী তাকে খুন করে ধরা পড়ে যাবার ভয়ে আত্মহত্যা করল? কিন্তু সেক্ষেত্রে খুনের কারণ কী? নাকি অন্য কেউ তাঁদের খুন করেন? এই প্রশ্নের জট খুলতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা। এবিষয়ে জেলা পুলিশসুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। ওই যুবক নিজেই নিজের গলার নলি কেটেছে কিনা বা অন্য কেউ তাঁকে খুন করে গেল, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। কী কারণে সাতসকালে শিশুটিকে খুন করা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”