অভিষেক চৌধুরী, কালনা: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে টানাপোড়েনের জের। প্রেমিকার আত্মহত্যার তিনদিন পর তরুণীর বাপের বাড়ি এলাকায় আত্মঘাতী হলেন প্রেমিকও। যুবকের পকেট থেকে প্রেমিকার নাম লেখা ও ভালোবাসার চিহ্ন আঁকা প্রেমপত্রও মিলেছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালনার পাঁচরকি গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম বিজয় সর্দার(১৮)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার নাতনি এলাকায়। খবর পেয়ে রবিবার কালনা থানার পুলিশ গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মৃত্যুর নেপথ্য কাহিনী। জানা যায়, পাঁচরকি গ্রামেরই মেয়ে ও অশোকনগর এলাকার বধূ দীপালি সর্দারের সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা।
[আরও পড়ুন: কেকেআর যেন একান্নবর্তী পরিবার, ফাইনাল জিতে নাইটদের সেলাম গম্ভীর-নায়ারকে]
কালনার পাঁচরকি গ্রামে বাপের বাড়িতে এসে গত বৃহস্পতিবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন দীপালি সর্দার(২৬)। তার পরেই রবিবার তাঁর বাপের বাড়ির অদূরেই একটি আমবাগানে বিজয় সর্দারের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাত পরিচয় এই যুবকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। পরে যুবকের পকেটে থাকা কাগজপত্র দেখে পুলিশ তাঁর নাম পরিচয় জানতে পারে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দীপালির বিয়ে হয়েছিল অশোকনগর এলাকায়। সেখানেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই দুজন আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। জানা গিয়েছে, বিজয় শনিবার দীপালির বাপের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের কাছে দীপালির খবর জানতে চান। আত্মহত্যার খবর শুনে তিনি আত্মঘাতী হন বলে মনে করছে পুলিশ। দুজনের মধ্যে এই সম্পর্কের কথা উভয় পরিবারই জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মৃতের পকেট থেকে মানিব্যাগ, নৈহাটি থেকে ট্রেন ধরার একটি টিকিট, চিঠি, একটি প্রেসক্রিপশন উদ্ধার হয়। সেই চিঠিতে দীপালি নাম লেখা, 'লাভ' চিহ্ন দেওয়া ছিল।