কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: বিয়ে করতে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল কিশোরী। সঙ্গে ছিল প্রায় ৩০ হাজার টাকার নগদ ও প্রচুর সোনার গয়না। আর সেটাই বোধহয় কাল হল! নিখোঁজ হওয়ার ছদিনের মাথায় উদ্ধার হল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর দেহ। মনে করা হচ্ছে, টাকা ও গয়নার লোভে তাঁকে খুন করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার এই ঘটনায় এলাকারই এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালিয়েছিল সে।
স্বরূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রমনা গ্রামে। ওই ছাত্রীর নাম রহিমা খাতুন(১৪)। গত ২২ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল ওই ছাত্রী। শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে সর্ষের জমিতে ওই ছাত্রীর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া ছিল। যা দেখে পরিবারের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। এই ঘটনায় এলাকার ১৭ বছরের এক কিশোরকে আটক করেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: অফিসের স্ট্রেস থেকেই রাজ্যে বাড়ছে সন্ধ্যার পথদুর্ঘটনা! সমীক্ষায় এল চাঞ্চল্যকর তথ্য]
ছাত্রীর মা সার্জিনা বিবি জানান,সাড়ে ২৭ হাজার নগদ টাকা-সহ সোনার কিছু গয়না নিয়ে তাঁর মেয়ে রহিমা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ করেছেন, এলাকারই এক কিশোর অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রহিমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েছিল। বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার বুদ্ধি দিয়েছিল ওই কিশোরই। ওই কিশোর এর আগেও ওইরকম একটি ঘটনায় জড়িত ছিল বলেও অভিযোগ। রহিমা নিখোঁজ হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। শনিবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটা সর্ষের জমিতে দেহ উদ্ধার হয়।
হরিহরপাড়া থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কী কারণে খুন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।