সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: টিউশন পড়তে বেরিয়ে নিখোঁজ। রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীর দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের অক্ষয়নগরে। ট্রেন দুর্ঘটনা, খুন নাকি আত্মহত্যা? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ইতিমধ্যেই তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় টিউশনি পড়তে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কাকদ্বীপের অক্ষয়নগরের বাসিন্দা দুই ছাত্রী সুমিতা দাস ও সোমা জানা। দু'জনেই কাকদ্বীপের সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। রাত হয়ে গেলেও দু'জন বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন পরিবারের লোকেরা চারদিকে খোঁজখবর শুরু করেন। কিন্তু দুই ছাত্রীর কোথাও কোন হদিশ মেলেনি। পরে লোকমুখে ও পুলিশ মারফত তাঁরা জানতে পারে কাশিনগর ও মাধবনগর রেল স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকা থেকে তাদের দু'জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত সুমিতার দিদা জানান, "তিনবছর বয়স থেকেই মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত সুমিতা। শনিবার স্কুলে পরীক্ষা দিয়ে আসে। পৌনে পাঁচটা নাগাদ টিউশনের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার মধ্যেই ফিরবে বলে যায়। ওর অপেক্ষাতেই বসেছিলাম। কিন্তু রাত অনেক হয়ে গেলেও বাড়ি ফিরছে না দেখে আমার মেয়ে জামাইকে জানাই।" তিনি আরও জানান, ওর সঙ্গেই বেরিয়েছিল সোমা নামে আরও এক ছাত্রী। সোমাও বাড়ি ফিরছে না দেখে রাতে সোমার দাদা তাঁদের বাড়িতে খোঁজ নেয়। যেখানে টিউশন পড়তে যাওয়ার কথা ছিল সেই শিক্ষককে ফোন করে জানা যায় তিনি সুমিতাদের পড়াননি। দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে।
রাত ২ দুটো নাগাদ জানতে পারেন দুই ছাত্রী ট্রেনে কাটা পড়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে দুই বান্ধবীর মৃত্যুতে রহস্য দানা বেঁধেছে, দুর্ঘটনা নাকি খুন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিকে আত্মহত্যার তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর জিআরপি। হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।