শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: কালিয়াগঞ্জের পর হেমতাবাদ। ফের পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুরে। শনিবার সকালে ভুট্টা খেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতে তাঁর খোঁজে গ্রামে গিয়েছিল হেমতাবাদের পুলিশ। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, পুলিশই খুন করেছে। যদিও রাতে গ্রামে অভিযানের কথা মানতেই রাজি নয় পুলিশ।
মৃতের নাম ওসমান আলি (৪৫)। হেমতাবাদের সীমান্ত এলাকার বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলদিঘি গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় চাষি। তাঁর দুই ছেলে, এক মেয়ে। পরিবারের দাবি, রাত ১২টার পর ওসমানের খোঁজে এসেছিল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পারিবারিক বিবাদের অভিযোগ ছিল আগেই। সূত্রের খবর, ওঁর বিরুদ্ধে বহুদিন আগে তার কাটার অভিযোগও রয়েছে। সেই মামলায় ওসমানকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল না কি জিজ্ঞাসাবাদ করতে তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশ ওসমানের খোঁজ করতেই তিনি পালিয়ে যান। তার পিছনে বেশকিছুটা ধাওয়া করে পুলিশ। তার পর তারা ফিরে যায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওসমান। শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে ভুট্টাখেত থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের নিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর বৈঠক বয়কট অনেক নেতার, জবাব তলব ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতার]
মৃতের ভায়রা রফিকুল ইসলামের অভিযোগ, “এর পিছনে পুলিশের কারসাজি রয়েছে। পুলিশ ছাড়া কে করবে! থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব। সিবিআই তদন্তের দাবি জানাব।” তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, গুলি করে খুন করা হয়েছে? জবাবে মৃতের আত্মীয় জানান, “গুলি করেছে কি না জানি না। তবে পুলিশই মেরেছে।” মৃতের মামা হায়দার আলির দাবি, “মাথা, মুখ ভুট্টার পাতা দিয়ে ঢাকা ছিল। গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সারা গায়ে রক্তের ছাপ রয়েছে।” হেমতাবাদ থানার আইসির অভিজিৎ দত্ত বলেছেন, “ফাইল খুলে দেখতে হবে যাওয়ার কথা ছিল কি না বা কেউ গিয়েছিল কি না। আমি ঠিক জানি না।”