নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বোলপুরে শান্তিনিকেতন রোডে বেসরকারি ব্যাংকে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। কালো ধোঁয়ায় ঢাকল গোটা এলাকা। গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের ওই ব্যাংকে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তথ্যের খোঁজে ওই ব্যাংকে চারবার হানাও দিয়েছিল সিবিআই (CBI)। সিবিআই তদন্ত চলাকালীন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের ভিড়। নিছক দুর্ঘটনা নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ বোলপুরের (Bolpur) ওই বেসরকারি ব্যাংকের ভিতরে আগুন দেখতে পান এক গ্রাহক। মুহূর্তের মধ্যে আগুন গোটা ব্যাংকে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে ব্যাংক ছেড়ে বেরনোর জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ব্যাংক কর্মী এবং গ্রাহকরা কোনক্রমে ব্যাংক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। এখনও চলছে আগুন নেভানোর কাজ। ধোঁয়ায় ঢেকেছে প্রায় গোটা এলাকা।
[আরও পড়ুন: ‘দিল্লিতে আছি’, সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ হাতিয়ার করে সিবিআই হাজিরা এড়ালেন মানিক]
বোলপুরের শান্তিনিকেতন রোডের ওই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। এমনকী তাঁর মেয়ে সুকন্যা, বিদ্যুৎবরণ গায়েনেরও অ্যাকাউন্ট রয়েছে ওই ব্যাংকে। অনুব্রতর বেশ কয়েকজন আত্মীয়র ওই ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। তথ্যের খোঁজে এই ব্যাংকে এখনও পর্যন্ত মোট চারবার সিবিআই আধিকারিকরা হানা দেন বলেও জানা গিয়েছে।
সিবিআই তল্লাশির মাঝে ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্নের ভিড়। নিছক দুর্ঘটনা নাকি তথ্য লোপাটের জন্য বেসরকারি ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড, উঠছে প্রশ্ন। যদিও ব্যাংক ম্যানেজার এ বিষয়ে কোনও জবাব দেননি। তিনি জানান, এসি থেকে শর্ট সার্কিটের জেরে ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড। তবে এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।