shono
Advertisement

লুলার শপথগ্রহণ ‘বয়কট’, অনুষ্ঠানের আগেই দেশ ছেড়ে ‘পালালেন’বলসোনারো

একটা লড়াই হারলেও যুদ্ধে জিতবই, দেশ ছাড়ার আগে হুংকার বলসোনারোর।
Posted: 01:46 PM Jan 01, 2023Updated: 01:46 PM Jan 01, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রাজিলের নির্বাচনে জাইর বলসোনারোকেই (Zair Bolsonaro) এগিয়ে রেখেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ফলাফলে দেখা যায়, সমস্ত হিসাব পালটে জয়ী হয়েছেন বামপন্থী নেতা লুলা দা সিলভা (Lula Da Silva)। তারপরেই একাধিকবার এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন বলসোনারো। এবার প্রথা ভেঙে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান কার্যত বয়কট করলেন তিনি। নতুন বছরের প্রথম দিনে শপথ নেবেন লুলা। কিন্তু প্রথা মেনে তাঁকে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন না সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। তবে সমর্থকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, একটা লড়াইয়ে হেরে গেলেও যুদ্ধ এখনও হারেননি তিনি। অন্যদিকে, বলসোনারো দেশ ছাড়ায় প্রশ্ন উঠেছে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পদে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়েও।

Advertisement

নির্বাচনে হারের পর থেকে সেভাবে বক্তব্য পেশ করতে দেখা যায়নি দক্ষিণপন্থী নেতাকে। তবে লুলার বিরুদ্ধে একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বলসোনারোপন্থী সমর্থকরা। বোমা বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ- সমস্ত ক্ষেত্রেই বিদায়ী প্রেসিডেন্টের নাম জড়িয়েছে। তবে এই কার্যকলাপকে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ বলে উড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছেন বলসোনারো। একইসঙ্গে, দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের দাবিকে সমর্থনও জানিয়েছিলেন তিনি।

[আরও পড়ুন: কাবুলে তালিবান সেনার বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত বহু]

তবে কোনওভাবেই লুলার প্রেসিডেন্ট পদে বসা আটকাতে পারেননি বলসোনারো। ঘোষণা করা হয়, ১ জানুয়ারি শপথ নেবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। তার আগেই দেশ ছাড়তে দেখা যায় বলসোনারোকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফ্লোরিডায় যাবেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন বলসোনারোর দেহরক্ষীরা। এহেন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কার হাত থেকে লুলাকে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে? ব্রাজিলের প্রথা অনুযায়ী, নতুন প্রেসিডেন্টকে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল স্যাশ’ পরিয়ে তাঁর হাতে দেশের দায়িত্ব অর্পণ করেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। কিন্তু শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বলসোনারো থাকবেন না। ফলে ব্রাজিলের রীতি পালন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আপাতত দেশ পরিচালনার ভার রয়েছে ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যামিল্টন মৌরাওয়ের হাতে। শনিবারই তাঁর দপ্তরের তরফে জানানো হয়, দেশ ছেড়েছেন বলসোনারো। কিন্তু প্রেসিডেন্সিয়াল স্যাশ হস্তান্তর করবেন না, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হ্যামিল্টন। তাই শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। অক্টোবর মাসে ব্রাজিলের (Brazil President) সাধারণ নির্বাচন হয়। সেখানে জয় পাওয়ার বিষয়ে একেবারে নিশ্চিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট বলসোনারো ও তাঁর দলের কর্মীরা। সকলেই ধরে নিয়েছিলেন, টানা দ্বিতীয়বার বলসোনারোর নেতৃত্বে ব্রাজিলে সরকার গঠন হতে চলেছে। কিন্তু ফলাফল লুলার পক্ষে যাওয়ার পর থেকেই অশান্তি শুরু হয় ব্রাজিলের নানা জায়গায়। 

[আরও পড়ুন:ইজরায়েলের পাশেই ভারত, প্যালেস্টাইন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবে ভোট দিল না দিল্লি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement