shono
Advertisement

ভোটের আগে নাশকতার ছক? মালদহ ও ভাঙড়ে বোমা, অস্ত্র উদ্ধার ঘিরে ছড়াল আতঙ্ক

ভাঙড়ে গ্রেপ্তার এলাকার এক সক্রিয় সিপিএম কর্মী।
Posted: 09:05 AM Mar 04, 2021Updated: 11:52 AM Mar 04, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দেখভালে ইতিমধ্যেই স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central force)। দিনের অধিকাংশ সময় চলছে টহলদারি। তা সত্বেও বুধবার রাত থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র। বুধবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে (Bhangar) এক সিপিএম কর্মীর বাড়ি থেকে গুলি, ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকায় তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় কেউ এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত, তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণে রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনের গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। আতঙ্কও রয়ে গিয়েছে এখনও। তার মধ্যেই পাশের জেলা মালদহে (Maldah) উদ্ধার হল তাজা বোমা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে বৈষ্ণবনগর এলাকার মানুষজনের চোখে পড়ে প্লাস্টিকের বলের মতো কয়েকটি জিনিস। কাছে গিয়ে বোঝা যায়, সেগুলি আসলে তাজা বোমা (Bomb)। সংখ্যায় তা ২৫ থেকে তিরিশটি হবে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। এতগুলি বোমা একসঙ্গে দেখে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পাঠানো হয় পুলিশে। পুলিশ এবং বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তা পরীক্ষা করে দেখেন। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য প্লাস্টিকের বলের আকারের বোমাগুলি তৈরি করা হয়েছে। এর বিস্ফোরণ ক্ষমতা তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

[আরও পড়ুন: ভোটপ্রচারে পুরুলিয়ায় এসে ডবল ইঞ্জিন সরকারের পক্ষে সওয়াল নীতীন গড়করির]

অন্যদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে ভাঙড়ের চণ্ডীহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র (Arms) উদ্ধার করে পুলিশ। চণ্ডীহাটে অলি মহম্মদ মোল্লা নামে এক সিপিএম কর্মীর বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করে পাইপগান, গুলি, লোহার রড, হাঁসুয়া-সহ ধারালো অস্ত্র। বাড়ির ভিতরেই এসব মজুত করা হচ্ছিল। পুলিশ অস্ত্র-সহ অলিকে গ্রেপ্তার করে। আজ তাঁকে বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে। এলাকার সক্রিয় সিপিএম কর্মী অলির সঙ্গে কে বা কারা এভাবে অস্ত্র মজুতের কারবারে যুক্ত, কোথা থেকেই বা এসব এল, কী কারণে তা ব্যবহার করা হতো, সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে দুটি ঘটনা থেকেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নির্বাচনী আবহে সন্ত্রাসের জন্যই বোমা কিংবা ধারালো অস্ত্র মজুত করা হচ্ছিল রাজ্যের দুই প্রান্তে।

[আরও পড়ুন: বঙ্গের ভোটে গেরুয়া শিবিরের সৈনিক কারা? চূড়ান্ত করতে দিল্লি গেলেন দিলীপ ঘোষরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার