নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বগটুই কাণ্ডের (Rampurhat Incident) ক্ষত এখনও টাটকা। এখনও গ্রামছাড়া বেশ কিছু পরিবার। এই পরিস্থিতিতে ফের বোমা উদ্ধার হল বগটুই থেকে। তল্লাশি চালিয়ে ভাদু শেখের খুনের অন্যতম অভিযুক্ত পলাশ শেখের বাড়ির পিছন থেকে ড্রাম ভরতি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ ও সিআইডি।
বগটুই কাণ্ডের পর প্রায় ১৫ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। এরই মাঝে শনিবার রাতে বগটুই গ্রামে বোমা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শোনা যায়, গ্রামের মধ্যেই মজুত রয়েছে প্রচুর বোমা। ঘটনার খবর পেয়েই তল্লাশি শুরু করে স্থানীয় থানা ও সিআইডি। ভাদু শেখের খুনের মূল অভিযুক্ত পলাশের বাড়িতেই বোমা মজুত রয়েছে বলে খবর পায় তদন্তকারীরা। এরপর পলাশের বাড়ির আশেপাশে তল্লাশি চালানো হয়। সেই সময়ে বাড়ির পিছনের ফাঁকা জায়গা থেকে উদ্ধার হয় বোমা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তের স্বার্থে একটি টোটো ও বাইক ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠাল সিবিআই। অগ্নিকাণ্ডের দিন এই টোটো ও বাইকেই দাহ্য পদার্থ গ্রামে আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছে সিবিআই।
[আরও পড়ুন: আসন্ন উপনির্বাচনের প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আগামী সপ্তাহেই আসানসোলে রোড শো]
ঘটনার সূত্রপাত ২১ মার্চ। সন্ধেয় রামপুরহাটে খুন হন তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। এরপর বগটুই গ্রামে একাধিক বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড হয়। মৃত্যু হয় ৮ জনের। পুড়ে যায় বহু বাড়ি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বাংলা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন আর্থিক সাহায্য।
উল্লেখ্য, বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল হানিফ শেখকে। তারপর গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও পাঁচজনকে। এদিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ২১ জন।