সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গভীর রহস্য দানা বাঁধছে আকাশ পথে। গত ১১ দিনে ৩০০টিরও বেশি উড়ানে বোমাতঙ্কের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। শুক্রবারও নতুন করে ২৭টি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। সব ক্ষেত্রেই হুমকিগুলি ভুয়ো। শুক্রবার এয়ার ইন্ডিয়ার ছ’টি বিমান বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। স্পাইসজেট, ভিস্তারা এবং ইন্ডিগোর ৭টি করে বিমানে একই ধরনের হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই উড়ানগুলি হয় বাতিল করা হয়েছে, নাহয় যাত্রাপথ বদল করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার অন্তত ৯৫টি উড়ানে বোমা রাখার আতঙ্ক ছড়ানো নিয়ে গভীর রহস্য দানা বাঁধছে। একসঙ্গে চারটি বিমান সংস্থায় এই বোমাতঙ্ক ছড়ায়। এই নিয়ে গত ১১ দিনে প্রায় ৩০০টি বেশি উড়ানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। বোমাতঙ্ক ছড়ানোর জন্য দিল্লি পুলিশ এ পর্যন্ত ৮টি মামলা দায়ের করেছে। এবারে আকাশ, এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো এবং বিস্তারার বিভিন্ন উড়ানের জন্য বার্তা এসেছে। এরমধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও কয়েকটি অভ্যন্তরীণ উড়ান রয়েছে।
ইতিমধ্যেই অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানিয়েছেন, বোমাতঙ্ক ছড়ানোর চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু একাধিক বৈঠক, সিদ্ধান্তের পরও তা কমার কোনও লক্ষণ নেই। কয়েকদিন ধরে সরকার এ ধরনের উড়ো খবর ছড়ানো ব্যক্তিদের নো ফ্লাই তালিকাভুক্ত করবে বলে ঠিক করেছে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, এইসব বোমাতঙ্কের অধিকাংশই সোশাল মিডিয়া ‘এক্স’ মারফত আসছে। যে ‘এক্স’ হ্যান্ডলগুলি থেকে এই হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে সেগুলি চিহ্নিত করতে ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (১৪সি), ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সার্ট-ইন) একযোগে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় সরকার সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-কে কঠোরভাবে তিরস্কার করেছে। কেন্দ্রের প্রশ্ন, বোমা হামলা নিয়ে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে কেন পদক্ষেপ করেনি এক্স?
সূত্রের খবর, বোমাতঙ্ক ছড়াতে যে ভুয়ো ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলির নেপথ্যে ভিপিএন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করেই হুমকিবার্তা পাঠানো হয়েছে। আর সে কারণেই ওই বার্তা প্রেরকদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। যে আইপি অ্যাড্রেসগুলি ব্যবহার করে বোমার হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব হুমকির ৭০-৮০ শতাংশ আসছে ভারতের বাইরে থেকে। বেশির ভাগ হুমকিদাতার আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল অনুযায়ী অবস্থান জার্মানি, ব্রিটেন, জার্মানি, কানাডা ও আমেরিকা। তবে দেশের ভিতর থেকেও হুমকি আসছে। সেগুলো চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।