সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: 'দলবদলু' বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি। তিনটি বোমা ছোড়া হয় বলেই খবর। কে বা কারা বোমা ছুড়ল, তা স্পষ্ট নয়। তবে ওই বিজেপি নেতার দাবি, দলবদলের ফলে তাঁর উপর এই হামলা। বোমাবাজির ঘটনায় তৃণমূলের যোগসাজশ রয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁর। পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর এ জোনের কণিষ্ক সাউথ রোডের বাসিন্দা অভিষেক রায়। জেলা তৃণমূলের নমশুদ্র উদ্বাস্তু সেলের জেলা সভাপতি ছিলেন তিনি। প্রায় মাসছয়েক এই পদেই ছিলেন অভিষেক। দিনদুয়েক আগেই তিনি দল বদলান। তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপি। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। রবিবার রাত ১২টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন। অভিষেকের দাবি, কেউ যেন তাঁকে পিছু করছে বলেই মনে হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোমাবাজি করা হয়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। আর সেই সুযোগে ওই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছাড়ে। এর পর কার্যত দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে ঢোকেন তিনি। তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বান্টি সিং, দেবরাজ চক্রবর্তী, রাজা সেনের মদত রয়েছে। তাঁদের নির্দেশেই বোমাবাজি হয়েছে বলেই অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: বঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কি শুভেন্দু? সোজাসাপ্টা জবাব দিলীপ ঘোষের]
স্ত্রী, ছেলে এবং বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে সংসার অভিষেকের। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত এলাকার লোকজন। ভোটের মুখে ইচ্ছাকৃতভাবে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে বলেই দাবি স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের। তিনি বলেন, "ভোটে হার নিশ্চিত বুঝে জল বন্ধ করে দেব, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেব বলে হুমকি দিচ্ছে। আতঙ্কে যাতে কেউ ভোট দিতে না যায়, তাই করছে। গত নির্বাচনে দুর্গাপুরে ভোট লুট করেছিল তৃণমূল। তার প্রতিবাদ হবে ব্যালট বক্সে। লাভ কিছু হবে না। মানুষ মোদিজীকেই ভোট দেবেন।" যদিও বোমাবাজির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি তৃণমূল।