রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: স্থায়ী সমিতির নির্বাচন ঘিরে তুমুল উত্তেজনা খেজুরিতে। চলল বোমাবাজি। হামলা হয় বিডিওর গাড়িতে। এমনকী, বিডিও অফিসের ভিতর সাংসদ শিশির অধিকারী বসে থাকাকালীন অফিসের ছাদেও বোমা পড়ে বলে অভিযোগ। হামলার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন খেজুরি ২ ব্লকের বিডিও ত্রিভুবন নাথ। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি। শেষপর্যন্ত উত্তেজনার জেরে স্থগিত হয়ে যায় স্থায়ী সমিতির নির্বাচন।
খেজুরি ২ ব্লকের ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩টি বিজেপি এবং ২টি তৃণমূল দখল করে। তবে পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির দুজন জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেয়। ফলে ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি এবং সহ-সভাপতি তৃণমূলের হয়। স্বাভাবিকভাবেই স্থায়ী সমিতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি দু’পক্ষই হাল ছাড়তে চাইছিল না।
[আরও পড়ুন: জাতীয়-রাজ্য সড়কে চলবে না টোটো-অটো! যানজট কমাতে বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের]
পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির সদস্য ৭ জন, প্রধান ৩, বিধায়ক ১, জেলা পরিষদের সদস্য ১ জন। সবমিলিয়ে মোট ১২ জন সদস্য তৃণমূলের। অপরদিকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ৮ জন, প্রধান ২, জেলা পরিষদের সদস্য ১ জন। মোট সদস্য ১১ জন। তবে কাঁথি লোকসভার সাংসদ শিশির অধিকারী ভোট কোনদিকে পড়ে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট উদ্বেগ ছিল। এদিন শিশির অধিকারী ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে।
দুপুরের দিকে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে বিজেপি-তৃণমূল কর্মীরা। এলাকায় ১৪৪ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালায় পুলিশ। এর মাঝে বিডিওর গাড়িতে হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দু’পক্ষের মধ্য়ে অশান্তির জেরে বোমাও পড়ে বিডিও অফিসে। অশান্তির ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকে তুলোধোনা করেছেন বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্য়র্থ। পালটা বিজেপিকে নিশানা করেছেন খেজুরি-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামল মিশ্র। তাঁর কথায়, “শুভেন্দু ও শিশির অধিকারী পরিকল্পিতভাবে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। ওদের উসকানিতেই এঘটনা ঘটেছে।”