রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: এক, দুবছর নয়। কেটে গিয়েছে ৩০০ বছর। তা সত্ত্বে আজও স্বমহিমায় বালিসাই ভূঁইয়া গড় জমিদার বাড়ির পুজো। ওই পুজোর মাহাত্ম্য জানলে আপনি মুগ্ধ হবেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির রামনগরের সমুদ্র উপকূলবর্তী বালিসাই ভূঁইয়াগড়ের দুর্গাপুজোর নিয়ম যেন একেবারেই ব্যতিক্রমী। কামান দেগে পুজোর সূচনা হয় আজও। পালকি করে আসেন মা। একচালার প্রতিমা হয় প্রতিবছর। বালিসাই ভূঁইয়াগড়ের সামনে রয়েছে দেবীপুকুর। সেখান থেকে প্রতি বছর পালকি চড়ে ঠাকুরদালানে আসেন দেবী।
[আরও পড়ুন: ৫৫ কেজি রুপোর দুর্গা, বাংলার শিল্পীর তৈরি প্রতিমার ত্রিপুরা যাত্রা]
জমিদার বাড়ির ঠাকুরদালানের কাছে দরজার বাইরে রয়েছে একটি বেলগাছ। তার সোজাসুজি দেবীর অধিষ্ঠান। দুর্গাপুজোর সময় ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমীতে জমিদার বাড়িতে প্রবেশ অবাধ। জমিদার বাড়িতে আগে পুজোর সময় পালাগান হত। যাত্রার আসর বসত। হত আরও নানা অনুষ্ঠান। দুরদুরান্তের মানুষ জমিদার বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন।
জমিদার বাড়ির বর্তমান সদস্য শিবাশিস দাস মহাপাত্র বলেন, “পুজোয় অনেক আগে বলি প্রথা ছিল। বর্তমানে সেই প্রথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুজোর প্রতিদিন হোমযজ্ঞ হয়।” বদলেছে সময়। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে জমিদার বাড়িতেও। তবে জমিদার বাড়ির পরিচর্যায় খামতি নেই এতটুকু। জোরকদমে চলছে ভাঙাচোরা অংশ সংস্কারের কাজ।