সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতিবাগানের কুণ্ডুবাড়ির বয়স ১৬০ বছর। গত ১৫ বছর ধরে এই বাড়ির দুই বংশধর এখানে শুরু করেছেন দুর্গা আরাধনা। এই দুর্গার বিশেষত্ব মা এখানে ব্যাঘ্রবাহিনী। অর্থাৎ দুর্গা সিংহ নয়, বাঘের পিঠে চড়ে আসেন। আর এর মধ্যে প্রকৃতি ও মানব সভ্যতার মেলবন্ধনই দেখাতে চান উদ্যোক্তারা।
কিন্তু সিংহের বদলে মা কেন এখানে ব্যাঘ্রবাহিনী? আসলে বাঘ এখানে শক্তির প্রতীক। যা সামগ্রিক ভাবে বাস্তুতন্ত্রকেই প্রকাশ করছে। আসলে এই বাড়ির পুজো জুড়েই যেন অভিনবত্ব। যা পরিষ্কার হয়ে গেল কুণ্ডুবাড়ির দুই প্রতিনিধি জয়দীপ ও সুচন্দ্রার সঙ্গে কথা বলার সময়। সংবাদ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁরা জানাচ্ছেন, ”আমাদের দুর্গা প্রকৃতি ও মানুষের উৎসবের গ্রন্থি। আমাদের ঈশ্বর বাঘ ও প্রকৃতি তাই আমাদের পুজোয় মহিষাসুরমর্দিনী ব্যাঘ্রবাহিনী। রং হয়েছে খড়িমাটির সঙ্গে জৈব রঙের গুঁড়ো মিশিয়ে। সাজ হচ্ছে শুধুমাত্র বাংলার প্রায় ভুলে যাওয়া শোলার ডাঁটি দিয়ে যা সম্পূর্ণভাবে বায়ো ডিগ্রেডেবল।
[আরও পড়ুন: ত্রিশূল হাতে অসুরসংহারী নন গৌরী, বসেন শিবের কোলে]
সেই সঙ্গে তাঁরা বলছেন, ”সাজের উপকরণ বন্যপ্রাণীরা। থাকছে বাঘ, হাতি, সাপ, পাখি, মাছ ও আরও অনেকে। পূজিত হবে তারাও মা দুর্গারানির সঙ্গে। আমাদের পুজো বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের আদলে এক উৎসব উদযাপন।”