সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংগীতচর্চা করলে একেবারে উচ্ছন্নে যাবে দেশের যুবসমাজ। কারণ সংগীতের প্রসার হলে দুর্নীতি বাড়বে। এই যুক্তি দেখিয়ে প্রায় এক হাজার ডলার মূল্যের বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দিল আফগানিস্তানের (Afghanistan) তালিবান প্রশাসন। শনিবার একটি বনফায়ারের আয়োজন করে সেদেশের নীতিরক্ষা মন্ত্রক। সেখানেই গিটার, হারমোনিয়াম, তবলা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্পিকার ও অ্যামপ্লিফায়ারও ফেলে দেওয়া হয় আগুনের গ্রাসে। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবানের (Taliban) ক্ষমতা দখলের পর থেকেই কট্টর ইসলামি নিয়ম চালু হয়েছে গোটা দেশজুড়ে। এবার তালিবানের রোষের মুখে পড়েছে সংগীত।
আফগানিস্তানের নীতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে আয়োজন করা হয় একটি বনফায়ার। শনিবার হিরাটে এই বনফায়ারে উপস্থিত ছিলেন ওই প্রদেশের নীতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তা আজিজ আল-রহমান আল-মুজাহির। তিনি বলেন, “সংগীতের প্রসার হলে নীতিগত ক্ষেত্রে দুর্নীতি তৈরি হয়। দেশের যুবসমাজ যদি সংগীতচর্চা করে তাহলে তারা একেবারে ভুল পথে চালিত হবে।” দেশে সংগীতের প্রসার রুখতে আগেও একাধিক পদক্ষেপ করেছে তালিবান। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন এই বাদ্যযন্ত্রের বনফায়ার।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ, লেখানো হয় মুচলেকা! ঘরে ফিরে বিস্ফোরক ‘অপহৃত’ বিরোধী প্রার্থীরা]
জানা গিয়েছে, শহরের নানা প্রান্তের বিয়েবাড়ি থেকে প্রচুর বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ করা হয়। গিটার, হারমোনিয়াম, তবলা-সহ নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র জড়ো করা হয় বনফায়ারের জায়গায়। বাদ্যযন্ত্রের পাশাপাশি স্পিকারও এনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে মোট এক হাজার মার্কিন ডলারের বাদ্যযন্ত্র পোড়ানো হয় শনিবার। ভারতীয় মুদ্রায় এই অঙ্ক প্রায় ৮২ হাজার টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে আফগানিস্তানে চালু হয় নীতিরক্ষা মন্ত্রক। সমাজের বুক থেকে দুর্নীতি দূর করার নামে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই মন্ত্রকের আধিকারিকরা। তার মধ্যে অন্যতম হল নারীদের স্বাধীনতা কার্যত কেড়ে নেওয়া। রমজান মাসে গান চালানোর ‘অভিযোগে’ বন্ধ করে দেওয়া হয় মহিলা পরিচালিত রেডিও স্টেশন। কয়েকদিন আগে বন্ধ করে দেওয়া হয় মহিলাদের বিউটি পার্লারও।