জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: সংবর্ধনা সভাকে কেন্দ্র করে ফের বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। শনিবার সন্ধ্যায় গাইঘাটার ঠাকুরনগরে সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া বনগাঁর (Bongaon) বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে সম্বর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সভার আয়োজন করেছিল বিজেপির গাইঘাটা পূর্ব মন্ডল-১। কিন্তু সভায় অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাংগঠনিক জেলা।
এদিন সন্ধ্যায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শান্তনু বাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেবকে। আশ্চর্যের বিষয় মনস্পতি বাবুর বাড়ি ঠাকুরনগরেই। স্বাভাবিকভাবেই নিজের এলাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হলেও তিনি না থাকায় দলের নেতা-কর্মীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন।
[আরও পড়ুন: Post Poll Violence: শুরু ধরপাকড়, নদিয়া থেকে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার ২]
যদিও এ বিষয়ে গাইঘাটা পূর্ব মন্ডল-১-এর সভাপতি দিব্যেন্দু মন্ডল বলেন, “জেলা নেতৃত্বের সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। মনস্পতি বাবুর কাজ থাকায় হয়ত আসতে পারেনি।” এ বিষয়ে মনস্পতি বাবু বলেন, “এটা দলের সাংগঠনিক কোন অনুষ্ঠান ছিল না। ফলে এটা আমাকে জানানো বাধ্যতামূলক নয়।” তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল কিনা এই প্রশ্ন অবশ্য তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। যদিও বিজেপির নেতা কর্মীরা মনে করছেন, সচেতন ভাবেই জেলা সভাপতিকে অনুষ্ঠানের বাইরে রাখা হয়েছিল। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে শান্তনু বাবুর সঙ্গে মনস্পতি বাবুর দূরত্ব বেড়েছে। দুজনের অনুগামীরা আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত। বিভিন্ন সাংগঠনিক সভা বা কর্মসূচিতে একপক্ষ গেলে আরেকপক্ষ সেখানে থাকছেন না।
সম্প্রতি বনগাঁ শহরে শান্তনু ঠাকুরকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই অনুষ্ঠানে মনস্পতি বাবুকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। যা নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছিল। দু’পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন। একের পর এক কোন্দল মাথা ছাড়া দেওয়ায় অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব।