জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রাত গভীর, মঞ্চে নাচছেন অর্ধনগ্ন যুবতীরা। নাচের তালে কোমর দোলাচ্ছেন এলাকারই মদ্যপ কয়েকজন যুবক। জাঁকিয়ে বসেছে পুজোর আমেজ। শনিবার রাতে বনগাঁ (Bongaon) থানার মাঝেরপাড়া এলাকার এক ক্লাবের পুজোয় এই দৃশ্য নজরে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দিলেন পুলিশে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে নাচের আসর বন্ধ করল পুলিশ। উদ্যোক্তাদের দু’জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি সাউন্ড সিস্টেমও আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বনগাঁ থানার মাঝেরপাড়া সহযাত্রী স্পোর্টিং ক্লাব এবার প্রথম দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আয়োজন করেছে। বিশু নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি এই পুজোর পরিচালনার দায়িত্বে। পুজোকে কেন্দ্র করে মাঠে তৈরি মঞ্চে নাচ, গান-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যা এবছর অর্থাৎ করোনা আবহে পুজোয় একেবারেই নিষিদ্ধ ছিল। তা উপেক্ষা করেই সহযাত্রী স্পোর্টিং ক্লাব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: পাহাড়ে গুরুং বিরোধী হাওয়া জোরদার, দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় মোর্চার শান্তিমিছিল]
শনিবার সন্ধ্যায় মাঠে পরিবার নিয়ে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে নাচ দেখে ক্ষুব্ধ হন বাসিন্দারা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন,করোনা আবহে সরকারি বিধিনিষেধ না মেনেই ‘ডান্স হাঙ্গামা’র জন্য মাঠে তৈরি করা হয়েছিল খোলা মঞ্চ। অভিযোগ, রাতে একের পর এক যুবতীরা মঞ্চে উঠছে, চটুল গানে নাচতে নাচতে খুলে ফেলছে পোশাক। সেই দৃশ্য দেখে মদ্যপ দর্শকরা মজা পাচ্ছেন। এতে এলাকার সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয়রা৷
[আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে রামনবমীর পতাকা পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ, উত্তেজনা দুর্গাপুরে]
স্থানীয় যুবক সন্দীপ দেবনাথের কথায়, “বিশু নামের ওই ব্যক্তি ক্লাবের নাম করে প্রথম পুজো করছে এবার। মঞ্চ বানিয়ে তাতে মেয়েদের দিয়ে অশ্লীল নৃত্য করিয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করল। ওদের শাস্তি হওয়া উচিত।”খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে নাচের আসর বন্ধ করে দেয়৷ দু’জন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে সাউন্ড সিস্টেম থানায় তুলে নিয়ে আসে। এই ঘটনার পর কার্যত মুখে কুলুপ পুজো কমিটির। এ বিষয়ে তাঁদের কারও সঙ্গে যোগাযোগই করা যায়নি।