সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলকে বাঁচাতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (Britain PM) পদের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান ঋষি সুনাক, এমনটাই চাইছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। লিজ ট্রাস সরে দাঁড়ানোর পর থেকে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে উঠে আসছে দু’ জনের নাম– বরিস জনসন ও ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। রাজনৈতিক মহল বলছে, জনপ্রিয়তার নিরিখে সুনাকের তুলনায় জনসনের পাল্লা ভারী। আবার জনসন দাবি করেছেন, একমাত্র তাঁর নেতৃত্বেই ২০২৪ সালে ক্ষমতায় ফিরতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। তাই এবার দলের কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান সুনাক, এমনটাই চাইছেন তিনি।
মাত্র ৪৪ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন লিজ ট্রাস (Liz Truss)। আর তার পর থেকেই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরতে চাইছেন। ট্রাস পদত্যাগ করার পরই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে তড়িঘড়ি ছুটি বাতিল করে ফিরে এসেছেন জনসন। দলে তাঁর সমর্থকও নেহাত কম নয়। কিন্তু তাঁর প্রত্যাবর্তনের পথে সবচেয়ে বড় কাঁটা ঋষি সুনাক। দলের ভাল-মন্দের প্রসঙ্গ তুলে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীকে লড়াই থেকে সরানোর কৌশল নিয়েছেন বরিস (Boris Jhonson), এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে ঋষি এই আবেদনে সাড়া দেবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: বাংলা, বিহার ভেঙে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল! ‘বিজেপির চক্রান্ত ব্যর্থ হবেই’, দাবি সুখেন্দুশেখরের]
লিজ ট্রাস মাত্র দেড় মাসের মাথায় পদ ছেড়েছেন। তারপরও তিনি বিশাল অংকের অর্থ পাবেন। সূত্রের খবর, বাকি জীবনের জন্য সরকারের তরফে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ডলার আসবে তাঁর হাতে। পাবলিক ডিউটি কস্ট অ্যালাওয়েন্স তহবিল থেকে দেওয়া হবে লিজ ট্রাসকে।
বুকি ও সূত্রের দাবি ঠিক হলে ঋষি সুনাকের পাশে ইতিমধ্যেই রয়েছে ১০০ জন এমপির সমর্থন। যার পরে সুনাক-অনুরাগীদের আশা বাড়ছে। এদিকে ৩১ অক্টোবরের আগেই নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার কথা। টোরি পার্টি কী করে, সেটাই দেখার। আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।