Advertisement
শরীর জুড়ে ধূসর কালো, সাদা ও বাদামি রঙের কম্বো, মাথায় লম্বাটে ঝুঁটি! 'ভূতি'কে দেখতে ভিড় বাড়ছে তিস্তায়
রইল সেই ছবি।
শীত পড়তেই বাংলার বিভিন্ন ঝিল, জলাশয়গুলিতে ভিড় জমাচ্ছে পরিযায়ী পাখির দল। এর মধ্যে যদিও পাখিপ্রেমীদের নজর কাড়ছে ঝুটি ওয়ালা ইউরোপীয়ান হাঁস। তিস্তার গজলডোবা পাখিবিতানে ক্রমশ বাড়ছে পরিযায়ীর ভিড়! কিন্তু সবার নজর কাড়ছে ওই হাঁস। তা দেখতে মানুষেরও ভিড় বাড়ছে। যদিও এই বিষয়ে সতর্ক প্রশাসন। ইতিমধ্যে পরিযায়ীদের নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
শুধু তাই নয়, পাখি গণনারও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বন দপ্তরের তরফে। আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে এই পাখি গণনার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মূলত তিস্তার জলাভূমিতে কত প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এসেছে তা জানতে পরিবেশ কর্মী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়েই চলবে এই গণনার কাজ।
শরীর জুড়ে ধূসর কালো, সাদা ও বাদামি রঙের কম্বো। মাথার পেছনে লম্বাটে ঝুটি। সোনা গলানো রঙের চোখ! যা আর পাঁচটা হাঁসের থেকে তাদের আলাদা করে রাখে। পরিবেশবিদদের কথায়, এই হাসের বসবাস সুদূর ইউরোপ। 'ক্রিস্টেড পচার্ড' নামেই এই হাসের পরিচিতি। তবে 'ভূতি' নামেই বাংলায় মানুষ এই হাঁসকে চেনে।
শীত পড়লেই এই সমস্ত হাঁসের পছন্দের ঠিকানা হিমালয়ের পাদদেশে তিস্তা নদী। দলে দলে আসে তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন গজলডোবা পাখিবিতানে। হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রতি বছর দল বেঁধে সুদূর ইউরোপ থেকে উড়ে আসে ওরা। তবে একা আসেনি ভূতি। পাখিপ্রেমী ডঃ রাজা রাউত জানান, সঙ্গী করে এনেছে নর্দার্ন পিন টেইল বা পিন ল্যাজা হাঁসকেও।
পাখিপ্রেমীর কথায়, এবার ইউরোপ, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া থেকেও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পরিবেশের টানে ছুটে এসেছে আরও একাধিক প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। তিস্তার স্বচ্ছ জলে দিনভর ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা। পাখি দেখতে প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের।
তবে আশঙ্কা একটাই, পর্যটকদের ভিড়ে মিশে শিকারিরা যাতে অতিথি পাখিদের নিরাপত্তায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে তারজন্য নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে বৈকুন্ঠপুর বন বিভাগ। নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের সচেতন করতে প্রচার চলছে।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাখি আসা শুরু হয়েছে পাখি বিতিানে। এখনও পর্যন্ত যে সংখ্যায় পাখি এসেছে তা দেখে পরিবেশ কর্মীদের আশা, এই বছর পাখির সংখ্যা আগামী দিনগুলিতে আরও বাড়বে। বৈকুন্ঠপুর বন বিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের অফিসার রাজকুমার পাল জানান, অতিথি পাখিদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১২ জানুয়ারি পাখি গণনার পরিকল্পনা রয়েছে।
Published By: Kousik SinhaPosted: 01:07 PM Dec 15, 2025Updated: 01:10 PM Dec 15, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
