সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এপ্রিলের শেষে ভারতে আসছেন ব্রিটিশ (UK) প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। সোমবার তাঁর দপ্তরের তরফে একথা জানানো হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই হবে তাঁর প্রথম ভারত সফর এবং অবশ্যই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সফরও।
গত ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের সময়ই ভারতে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ব্রিটেনে বাড়তে থাকা করোনা প্রকোপের কারণে সেই সফর বাতিল হয়ে যায়। তখনই অবশ্য বরিস জনসন জানিয়েছিলেন, খুব শিগগিরি তিনি ভারতে আসবেন। অবশেষে জানা গিয়েছে, এপ্রিলেই ভারতে আসছেন তিনি। গত বছরের শেষ দিক থেকে ব্রিটেনে দাপট দেখাতে শুরু করেছিল করোনার নয়া স্ট্রেন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সেই পরিস্থিতিতে ভারতে আসার পরিকল্পনা বাতিল করতে হয় বরিসকে। দেশের এমন অবস্থায় তাঁর পক্ষে ব্রিটেন ছেড়ে বেরনো ঠিক হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে প্রস্তাবিত বাণিজ্য আলোচনার সম্ভাবনাও স্থগিত রাখতে হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় তিনি সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসছেন না।
[আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত শ্রীলঙ্কা, রাষ্ট্রসংঘে ভোটাভুটির আগে ভারতের ‘সাহায্যপ্রার্থী’ কলম্বো]
প্রসঙ্গত, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের কর্তৃত্ব বাড়াতে ইতিমধ্যেই আমেরিকার সঙ্গে জোট আরও জোরদার করার পথে হেঁটেছে ব্রিটেন। এদিকে চিনের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক ক্রমশই তলানিতে ঠেকেছে। হংকংয়ে চিনের ভূমিকা থেকে করোনা পরিস্থিতি, নানা দিক নিয়েই বেজিংয়ের উপরে অসন্তুষ্ট ব্রিটেন। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, সব দিকে নজর রেখেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার দিকেই হাঁটতে চাইবে ব্রিটেন। আগামী জুনেই জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতকে। সেই সময় ওই সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিটেনে যাওয়ার কথা। তার আগে এপ্রিলে দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে কী কথা হয় সেদিকে তাকিয়ে থাকবে গোটা বিশ্ব।