অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলার পর রাস্তার ধারের একটি পরিশুদ্ধ পানীয় জলের বৈদ্যুতিক মেশিনে জল খেতে যাওয়াই কাল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়ার। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুরের কাজিপাড়ার মালিবাগান এলাকায়।
ইরফান খান (১২) নামে ওই বালকের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও বাড়ির কাছেই একটি মাঠে বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিল সে। খেলতে খেলতে জল তেষ্টা পায় তার। মাঠের পাশে রাস্তার ধারে একটি পরিশুদ্ধ পানীয় জলের মেশিন থেকে আর পাঁচটা দিনের মতোই জল খেতে যায় সে। আর তাতেই ঘটে যায় মর্মান্তিক এই ঘটনা।
[আরও পড়ুন: দু’দিনে বাংলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হাজারের বেশি, মৃত ৩]
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই জলের মেশিনের একটি তারে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ইরফান। কিছু বুঝে উঠতে না পেরে প্রথমে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বালকটি খেলতে খেলতে কোনওভাবে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে ভেবে চোখে মুখে জল দিতে থাকেন তাঁরা। কিন্তু কোনও সাড়া না পাওয়ায় তাঁরাই ওই বালককে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর যায় শিবপুর থানায়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। পাশাপাশি ঠিক কীভাবে ওই ছাত্রের মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
এদিকে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বালকটি শিবপুরের ২৭/৯ আনন্দ কুমার রায় চৌধুরী লেনের বাসিন্দা। স্থানীয় একটি স্কুলে পড়া ষষ্ঠশ্রেণির ওই ছাত্রের বাড়িতে বাবা-মা রয়েছেন। তাঁদের একমাত্র ছেলে ইরফানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁরা। আকস্মিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা শিবপুর কাজিপাড়া। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানিয়েছেন, যে পরিশুদ্ধ পানীয় জলের মেশিনটিতে ওই বালক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে সেই মেশিনটি হাওড়া পুরসভার তরফে ওই মালিবাগান এলাকায় বসানো হয়েছে। হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী অবশ্য এ বিষয় জানিয়েছেন, ওই জলের মেশিনটি পুরসভার কি না বা পুরসভার হলে কীভাবে মেশিনটি তড়িদাহত হল তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।